হাসপাতালের বিল মেটাতে নবজাতককে বেঁচে দিলেন দম্পতি Couple to sell newborn baby to meet hospital bill

child_web




হাসপাতালের বিল মেটাতে পারছিলেন না ওড়িষার এক দম্পতি। হাসপাতালের পরামর্শেই তাদের নবজাতককেই বেচে দিলেন ওই দম্পতি। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে ওড়িশার কেন্দ্রাপাড়া জেলায়। ৭৫০০ টাকায় এক নিঃসন্তান দম্পতির কাছে বিক্রি করা হল সেই সদ্যোজাতকে।
এরপরই, অদ্ভুতভাবে, সরকার অনুমোদিত আশা কর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশে এফআইআর দায়ের করেন শিশুর বাবা নিরাকার মহারাণা। তাঁর অভিযোগ, ওই কর্মী নিজের উদ্যোগে তাঁদের একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যান। সেখানে বিল না মেটাতে পারায়, তাঁদের শিশুসন্তানকে বেচে দেওয়ার পরামর্শ দেয় নার্সিংহোম। যদিও, এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হয়নি অভিযুক্ত নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ।পুলিশ জানিয়েছে,  তাঁদের তৃতীয় সন্তানের জন্মানোর সময় গত ৩০ জুলাই জেলা সদর হাসপাতালে যান রাজনগর মহকুমার রিঘাগাড়া গ্রামের বাসিন্দা মহারাণা ও তাঁর স্ত্রী গীতাঞ্জলি। অভিযোগ, যে আশা কর্মী তাঁদের সঙ্গে গিয়েছিলেন, তিনি গীতাঞ্জলিকে নার্সিংহোমে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দেন।
গত ১ আগস্ট, কন্যাসন্তানের জন্ম দেন পেশায় দিনমজুর মহারাণার স্ত্রী গীতাঞ্জলি। মহারাণার দাবি, তাঁর ধারনা ছিল, সরকারি হাসপাতালের মতো নার্সিং হোমেও নিখরচায় চিকিৎসা পাওয়া যাবে। কিন্তু, তাঁকে সাড়ে সাত হাজার টাকার বিল মেটাতে বলা হয়। মহারাণা বলেন, আমার কাছে সেই সময় এক হাজার টাকাও ছিল না। তাঁর অভিযোগ, নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয়, টাকা না মেটানো হলে, রোগীকে ছাড়া হবে না।
মহারাণার অভিযোগ, এরপর নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ তাঁকে শিশুকে বেচে দেওয়ার পরামর্শ দেয়। তারা জানায়, কোনও নিঃসন্তান দম্পতিকে শিশু বেচে টাকা তুলে নিতে। মহারাণা জানান, আর কোনও উপায় না পেয়ে তিনি চাপের কাছে নতিস্বীকার করেন। বেচে দেন নিজের সদ্যোজাতকে।
এফআইআরে মহারাণা অভিযোগ করেন,  নার্সিংহোম আশ্রিত মিডলম্যানদের মাধ্যমে তাঁর সন্তানকে এক দম্পতির হাতে তুলে দেওয়া হয়। সদ্যোজাত কন্যা হারানো মহারাণার দাবি, ওই আশা কর্মী তাঁদের বিপথে চালিত করেছেন। তিনি জানান, শিশু-বিক্রি চক্রে জড়িতরা যাতে ছাড়া না পায়, তার জন্যই তিনি পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন। অভিযোগ পেয়েই তদন্ত শুরু করে পুলিশ। কেন্দ্রাপাড়া থানার ইনস্পেক্টর বিজয় কুমার বিশি জানান, জুভেনাইল জাস্টিস আইন এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭২ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।



A couple of Orissa could not meet the hospital bill. The couple sold their newborn baby at the suggestion of the hospital. The tragic incident happened in Kendrapara district of Odisha. The newborn, which was sold to an unmarried couple at 7500 rupees.After that, oddly, the government filed FIR against police in support of the hopes of the parents, the father of the unarmed Maharana. He complained that the workers took them to a nursinghouse on their own initiative. NursingHome advised to sell the baby boy, if not able to meet the bill there. However, the nursing authority refused to comment on this matter. The police said that during the birth of their third child, on July 30, Rajnagar resident of Rigagara village of Maharajana and his wife, Gitanjali, went to the district headquarters. The complainant, who had gone with them, advised Gitanjali to be admitted to nursing school.On 1 August, the daughter of a girl, born in the profession, is married to Gitanjali. Maharana claimed, his idea was that free treatment would be available at Nursing Homes like government hospitals. But, he was asked to meet the bill of seven thousand taka. Maharana said, I did not have even a thousand rupees at that time. His complaint, the nursing authority, told that if the money is not met, the patient will not be released.
The Maharana complained, then the nursing authority advised him to sell the baby. They say, to take away a child from a childless couple to save money. Maharana said that without getting any other way, he yielded to pressure. Sell ​​your own newborn
In the FIR, Maharana complained that his child was handed over to a couple by middle-aged nursing staff. The lost hope of the newly born daughter, the hopeful worker has led them astray. He said that he was approached by the police for not getting involved in the child-selling cycle. After the complaint, the police started investigating. Inspector Bijay Kumar Bishi of Kendrapara police station said that a case has been filed under section 372 of the Juvenile Justice Act and Indian Penal Code.
Share on Google Plus Share on Whatsapp



0 comments:

Post a Comment