কর্ণাটকের মন্ত্রী ডিকে শিবকুমারের বাড়িতে আয়কর তল্লাশির সঙ্গে
গুজরাটের রাজ্যসভা নির্বাচনের কোনও যোগ নেই। বুধবার লোকসভায় বয়ান দিয়ে
স্পষ্ট করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। তাঁর দাবি, এটি নিছকই
আর্থিক অপরাধের ঘটনা। মন্ত্রীর বাড়ি ছাড়ায় মোট ৩৯ জায়গায় তল্লাশি
চালিয়েছে আয়কর বিভাগ।
বুধবার সকালে কর্ণাটকের কংগ্রেসি সরকারের মন্ত্রী শিবকুমারের বাড়িতে হানা দেয় আয়কর বিভাগ। তার জেরে দিনভর সরগরম ছিল সংসদ। কংগ্রেসের দাবি, গুজরাটের রাজ্যসভা নির্বাচনে সনিয়া গান্ধীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা আহমেদ পটেলকে হারাতে মরিয়া হয়ে একাজ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
গুজরাটের রাজ্যসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছেন আহমেদ পটেল। আর
রাজ্যসভা নির্বাচনের মুখে কংগ্রেস ছেড়েছেন সেরাজ্যের প্রাক্তন
মুখ্যমন্ত্রী শঙ্কর সিং বাঘেলা। তার পর থেকেই কংগ্রেস ছেড়ে
বিজেপিতে যোগদানের হিড়িক লেগেছে সেরাজ্যের বিধায়কদের মধ্যে। গত মাসের
শেষে দু’দিনে ছ’ জন বিধায়ক দলবদল করেন। এর পরই ৪০ জন বিধায়ককে বিমানে করে
কর্ণাটকে একটি রিসর্টে পাঠিয়ে দেয় কংগ্রেস হাইকম্যান্ড।
সেই রিসর্টে বিধায়কদের যাবতীয় ব্যবস্থা করার দায়িত্ব ছিল মন্ত্রী শিবকুমারের ওপরে। বুধবার সকালে তাঁর বাড়িতেই তল্লাশি চালায় আয়কর বিভাগ। উদ্ধার হয় ৫ কোটি টাকা। অভিযোগ ওঠে যে রিসর্টে গুজরাটের বিধায়করা রয়েছেন সেখানেও তল্লাশি চালিয়েছে আয়কর দফতর। এর পরই সংসদে শোরগোল শুরু করে কংগ্রেস।
কংগ্রেসের পরিষদীয় দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গের প্রশ্নের জবাবে এদিন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি বলেন, ‘কোনও রিসর্টে বা গুজরাটের কোনও বিধায়কের ওপর কোনও তল্লাশি চালায়নি আয়কর দফতর। গুজরাটের এক মন্ত্রীর বাড়িতে তল্লাশি হয়েছে। এছাড়াও ৩৯টি জায়গায় তল্লাশি হয়েছে। তল্লাশির সময় কোনও একটি রিসর্টে গিয়ে লুকিয়ে পড়েন ওই মন্ত্রী। তল্লাশি চালানোর নিয়ম অনুসারে যাঁর বাড়িতে তল্লাশি চলছে তাঁকে সব তথ্য জানাতে হয়। তাই সেখান থেকে তাঁকে আনতে গিয়েছিলেন আয়কর দফতরের কর্তারা। সেখানে গিয়ে তাঁরা দেখেন মন্ত্রীমশাই বসে বসে কিছু কাগজ ছিঁড়ছেন। সেই ছেঁড়া কাগজ বাজেয়াপ্ত করে তাঁকে তাঁর বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। এর সঙ্গে গুজরাট রাজ্যসভা নির্বাচনের কোনও যোগ নেই।’
বুধবার সকালে কর্ণাটকের কংগ্রেসি সরকারের মন্ত্রী শিবকুমারের বাড়িতে হানা দেয় আয়কর বিভাগ। তার জেরে দিনভর সরগরম ছিল সংসদ। কংগ্রেসের দাবি, গুজরাটের রাজ্যসভা নির্বাচনে সনিয়া গান্ধীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা আহমেদ পটেলকে হারাতে মরিয়া হয়ে একাজ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
সেই রিসর্টে বিধায়কদের যাবতীয় ব্যবস্থা করার দায়িত্ব ছিল মন্ত্রী শিবকুমারের ওপরে। বুধবার সকালে তাঁর বাড়িতেই তল্লাশি চালায় আয়কর বিভাগ। উদ্ধার হয় ৫ কোটি টাকা। অভিযোগ ওঠে যে রিসর্টে গুজরাটের বিধায়করা রয়েছেন সেখানেও তল্লাশি চালিয়েছে আয়কর দফতর। এর পরই সংসদে শোরগোল শুরু করে কংগ্রেস।
কংগ্রেসের পরিষদীয় দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গের প্রশ্নের জবাবে এদিন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি বলেন, ‘কোনও রিসর্টে বা গুজরাটের কোনও বিধায়কের ওপর কোনও তল্লাশি চালায়নি আয়কর দফতর। গুজরাটের এক মন্ত্রীর বাড়িতে তল্লাশি হয়েছে। এছাড়াও ৩৯টি জায়গায় তল্লাশি হয়েছে। তল্লাশির সময় কোনও একটি রিসর্টে গিয়ে লুকিয়ে পড়েন ওই মন্ত্রী। তল্লাশি চালানোর নিয়ম অনুসারে যাঁর বাড়িতে তল্লাশি চলছে তাঁকে সব তথ্য জানাতে হয়। তাই সেখান থেকে তাঁকে আনতে গিয়েছিলেন আয়কর দফতরের কর্তারা। সেখানে গিয়ে তাঁরা দেখেন মন্ত্রীমশাই বসে বসে কিছু কাগজ ছিঁড়ছেন। সেই ছেঁড়া কাগজ বাজেয়াপ্ত করে তাঁকে তাঁর বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। এর সঙ্গে গুজরাট রাজ্যসভা নির্বাচনের কোনও যোগ নেই।’
0 comments:
Post a Comment