শ্বাসকষ্ট মানেই কি 'অ্যাজমা" ?

অনেকেই মনে করেন শ্বাসকষ্ট মানেই 'অ্যাজমা'। আসলে অ্যাজমা ছাড়াও বিভিন্ন কারণে হতে পারে শ্বাসকষ্ট। যেমন হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তির শ্বাসকষ্ট হয়। এরপর যাদের রক্তশূন্যতা আছে, তাদেরও শ্বাসকষ্ট হয়। এমনকি কিডনি রোগীরও শ্বাসকষ্ট হয়।তাহলে জেনে নিন অ্যাজমা-সংক্রান্ত কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়..

সব খাবারে কি সবারই অ্যাজমা হতে পারে?  

আসলে কোনো ব্যক্তির বিশেষ কোনো খাবারেই অ্যাজমা হয়। যেমন গরুর মাংস খেলে কারও অ্যাজমার তীব্রতা বেড়ে যায়। আরেকজনের হয়তো গরুর মাংসে কোনো সমস্যাই হয় না। চিংড়ি মাছ খেলে হয়তো কারও সমস্যা বাড়ে। আরেকজনের ক্ষেত্রে হয়তো দেখা যায়, এ দুটি খেলে কিছুই হয় না। হয়তো বেগুন খেলে তার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। এর অর্থ, একেকজনের একেকটা খাবারের প্রতি অ্যালার্জি থাকতে পারে।

অ্যাজমা কি ছোঁয়াচে রোগ?

না। বংশগতভাবে অ্যাজমা হতে পারে। কিন্তু এটা ছোঁয়াচে নয়। আক্রান্ত মায়ের বুকের দুধ খেয়ে শিশুর অ্যাজমা হওয়ার আশঙ্কা নেই। মায়ের সংস্পর্শে থাকলেও অ্যাজমা হবে না।

অ্যাজমা কি সম্পূর্ণভাবে নিরাময়যোগ্য?

অ্যাজমা পুরোপুরি ভালো হয় না। তবে অ্যাজমার যেসব আধুনিক চিকিৎসা রয়েছে, সেগুলো সঠিকভাবে গ্রহণ করলে একজন অ্যাজমা রোগী প্রায় সুস্থ হয়ে উঠবে।

ইনহেলার ব্যবহারই কি অ্যাজমার শেষ চিকিৎসা?

অনেকে ভাবেন, যখন আর কোনো ওষুধ কাজ করে না, অর্থাৎ বড়ি, সিরাপ, ক্যাপসুল সবই ব্যর্থ, তখন হয়তো অ্যাজমার চিকিৎসায় ইনহেলার নেওয়া হয়। কথাটা মোটেও সত্য নয়। ইনহেলার দিয়েই কিন্তু প্রথমে চিকিৎসা করতে হবে। ইনহেলার কেন দেওয়া হয়? ইনহেলার দেওয়ার দু-তিন মিনিটের মধ্যে শ্বাসকষ্ট থাকে না। এটি শ্বাসনালির মধ্যে হওয়া প্রদাহ নিয়ন্ত্রণ করে। ইনহেলারের ব্যবহারবিধি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক ব্যবহারবিধি না জানায় অনেকে এর সুফল থেকে বঞ্চিত হয়।


(source-Internet)
Share on Google Plus Share on Whatsapp



0 comments:

Post a Comment