বায়ু দূষণে শুধু হার্ট বা লাং-এর ক্ষতি নয়,বাড়ছে আর্থ্রারাইটিসের প্রকোপও !

সম্প্রতি এইমস হাসপাতালের একদল চিকিত্‍সক একটি পরীক্ষা চালিয়েছিলেন। তাতে দেখা গেছে বায়ু দূষণের কারণে শুধু হার্ট বা লাং-এর ক্ষতি হচ্ছে না। সেই সঙ্গে শরীরে বাসা বাঁধছে আর্থ্রাইটিসের মতো রোগও। আসলে দূষিত বায়ুর শরীরে থাকা একাধিক ক্ষতিকর গ্যাস শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করার পর হাড়েদের এতটাই দুর্বল করে দিচ্ছে যে আর্থ্রাইটিসের মতো রোগ শরীরে এসে বাঁসা বাঁধতে একেবারেই সময় নিচ্ছে না। তাই তো কলকাতা এবং দিল্লিবাসীদের বেশি করে সাবধান থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিত্‍সকেরা।
আসলে আমাদের দেশের চার মেট্রোপলিটন শহরের মধ্যে এই দুটি শহরেরই গত কয়েক দশকে বায়ু দূষণের মাত্রা সবথেকে চোখে পরার মতো বৃদ্ধি পয়েছে। 
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে টক্সিক উপাদানের কারণে হওয়া আর্থ্রাইটিস প্রকোপ কমাতে বেশ কিছু প্রকৃতিক উপাদান বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই তো এই দূষণের মাঝেও যদি সুস্থ থাকতে চান, তাহলে এই প্রবন্ধে আলোচিত ঘরোয়া টোটকাগুলিকে কাজে লাগাতে ভুলবেন না !  সাধারণত যে যে প্রকৃতিক উপাদানগুলি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে, সেগুলি হল...

১. অ্যাপেল সিডার ভিনিগার:
ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম,পটাশিয়াম এবং ফসফরাসে পরিপূর্ণ এই প্রকৃতিক উপাদানটি নিয়মিত যদি এক গ্লাস জলের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন, তাহলে হাড়ের শক্তি এতটাই বৃদ্ধি পায় যে আর্থ্রাইটিস মতো রোগ আক্রমণ করার সুযোগই পায় না।
২. আদা:
৬ চামচ শুকনো আদার সঙ্গে ৩ চামচ গোলমরিচত মিশিয়ে সেই মিশ্রনটি জলে গুলে যদি নিয়মিত খাওয়া যায়, তাহলে আর্থ্রাইটিস মতো রোগ ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না। কারণ আদার অন্দরে থাকা একাধিক উপকারি উপাদান শরীরের অন্দরে ইনফ্লেমেশন কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। ফলে জয়েন্টে প্রদাহ হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়।
৩. হলুদ:
এই প্রকৃতিক উপাদানটির শরীরে থাকা কার্কিউমিন নামক বিশেষ এক ধরনের উপাদান আদার মতোই ইনফ্লেমেশন কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে এতটাই শক্তিশালী করে দেয় যে কোনও ধরনের অটোইমিউন ডিজিজই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না। এক্ষেত্রে প্রতিদিন রাত্রে শুতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস হলুদ মেশানো দুধ যদি খেতে পারেন, তাহলে কিন্তু দারুন উপকার মেলে।
৪.দারুচিনি :
প্রচুর মাত্রায় অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটারি উপাদান এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকার কারণে এই প্রকৃতিক উপাদানটি অর্থ্রাইটিসের চিকিত্‍সায় দারুন কাজে আসে। তাই তো  সকালে খালি পেটে এক গ্লাস গরম জলে পরিমাণ মতো দারচিনি পাউডার এবং মধু মিশিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞরা।
৫. বেশি করে মাছ খেতে হবে:
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে মাছেদের শরীরে থাকা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটানোর মধ্যে দিয়ে আর্থ্রাইটিসের মতো রোগের প্রকোপ কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই তো হে মাছ প্রিয় বাঙালি বায়ু দূষণের মাঝেও যদি চাঙ্গা থাকতে চান, তাহলে ভুলেও রোজের ডায়েট থেকে মাছকে বাদ দেবেন না যেন!
৬. চেরি:
এই ফলটির অন্দরে প্রচুর মাত্রায় মজুত রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাশিয়াম। এই দুটি খনিজ হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই শুধু আর্থ্রাইটিস নয়, যে কোনও ধরনের হাড়ের রোগকে দূরে রাখতেই নিয়মিত কম করে ১০ টি চেরি খাওয়ার অভ্যাস করুন। দেখবেন দারুন উপকার মিলবে।
Share on Google Plus Share on Whatsapp



0 comments:

Post a Comment