শিবসেনা জোট ছাড়ায় বিপত্তিতে বিজেপি

মৃত্যুঞ্জয় সরদার :উত্তরপূর্বের ত্রিপুরা, মেঘালয় ও মহারাষ্ট্র বিধানসভা নিবার্চনের আগে গেরুয়া শিবিরের সবচেয়ে পুরনো জোট সঙ্গী শিবসেনার, লোকসভা নিবার্চনে একক ভাবে লড়াই করার যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ তা জাতীয় রাজনীতিতে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। 
সুত্রের খবর যে, শিবসেনা জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে জোটে ছাড়ার প্রস্তাব পেশ করেন দলের মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত। প্রস্তাবের পক্ষে সমর্থন জানান বাকি সদস্যরা। এর ফলে মহা সংখ্যালঘু হয়ে পড়বে দেবেন্দ্র ফড়নবীসের সরকার। সরকার বাঁচাতে বিজেপির দরকার আরোও  ২২ টি আসন। কংগ্রেসর হাতে রয়েছে ৪২ টি আসন। এনসিপির হাতে রয়েছে ৪১টি। 
সেক্ষেত্রে বিজেপির দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়ে জাতীয় রাজনীতির সমীকরণ বদলে দিতেই শারদ পাওয়ারের দল। যদিও জোট ভাঙার কথা জানালেও এই মুহূর্তে মহারাষ্ট্র কোয়ালিশন থেকে যে,শিবসেনা সরছে না সে বিষয় নিশ্চিত রাজনৈতিক মহল। তবে আগামী লোকসভা নিবার্চনে একা লড়াব ও বিজেপির এন ডি এ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিল বিজেপির সব থেকে পুরনো শরিক শিবসেনা। 
 দলের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। দলের মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত জানিয়েছেন, ২০১১ সালের লোকসভা নিবার্চনে একাই  লড়বে বিজেপি। বিজেপি -শিবসেনার দড়ি টানাটানি যদিও নতুন নয়। ২০১৪ বিধানসভা নিবার্চনের আগেও এনডিও ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিল শিবসেনা। শিবসেনা পায় ৬৩ টি আসন। ২৮৮ আসনের বিধানসভার সরকার গড়তে দরকার ১৪৪টি আসন। ফলে ফের হাত ধরতে হয় দুই দলকে। তবে সেই সহবাস মোটেও সুখের হয়নি। কেন্দ্রে মোদী সরকারের একাধিক পদক্ষেপর বিরোধিতায় এদিন  শিবসেনা জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে জোট ছাড়ার প্রস্তাব পেশ করেন দলের মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত। যার জেরে অস্বস্তি বাড়ে বিজেপির। 
লোকসভায় শিবসেনার ১৮জন সাংসদ রয়েছেন। রাজ্যসভায় রয়েছেন ৩ জন। সাংসদ। মোদী মন্ত্রীসভায় বর্তমানে শিবসেনার ১জন মন্ত্রী রয়েছেন। কংগ্রেসর পক্ষ থেকে শিবসেনার সঙ্গে বিজেপির দ্বন্দ্ব নিয়ে মুখ খোলা না হলেও পরিস্থিতি নিয়ে নজর রাখছে কংগ্রেস হাইকম্যান্ড যোগাযোগ রেখে সবসময় পরিস্থিতি আঁচ করার কৌশল নিয়ে চলেছেন। এনসিপিও আগ বাড়িয়ে কোন প্রতিক্রিয়া দিতে চাইছে না।
Share on Google Plus Share on Whatsapp



0 comments:

Post a Comment