NNS (Kolkata) : 2021 সালের বিধানসভা নির্বাচনে ত্রিপুরার মতো পশ্চিমবঙ্গ দখল করে ক্ষমতাসীন হওয়ার দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে একদিনের সংগঠন, অন্যদিকে জনসমর্থন জোগাড়ে ক্রমেই সক্রিয় হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপির মিশণ পশ্চিমবঙ্গ কে বাস্তবায়িত করতে দলের সভাপতি অমিত শাহ দীর্ঘ পরিকল্পনা নিয়েছেন।
আপাততঃ পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনে যত বেশি সম্ভব গ্রামে প্রার্থী দেওয়ার পাশে কংগ্রেস, সিপিএমকে পিছনে ফেলে বিজেপি এই রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের মূল বিরোধী শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে চাইছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেমন প্রকাশ্যে বলে চলেছেন যে, 'তাদের লক্ষ্য এবার লালকেল্লা। বিজেপি দিল্লী সামলাক, বাংলা তো বহুদূর।'
কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষায় সেই দুরের পশ্চিমবঙ্গ কে কাছে আনতেই পরিকল্পনা প্রস্তুত বিজেপির অন্দরে। এবছরের পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর 2019 সালে লোকসভার পরবর্তী নির্বাচনে এই রাজ্যে অর্ধেক আসন দখলের জন্য বিজেপি সব রকমের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
আর এস এস-বিজেপির সমন্বয়ে যেভাবে তিন বছর ধরেই তৃণমূল স্তরে গিয়ে ত্রিপুরায় সিপিএমকে চ্যালেঞ্জ জানানোর পাশে ওই রাজ্যের সমস্ত বিরোধী মানুষকে বিজেপির দিকে টেনে এনে সিপিএম কে উচিত শিক্ষা দেয়া সম্ভব হয়েছে, ঠিক সেই পথেই পশ্চিমবঙ্গে কৌশল নিচ্ছেন নরেন্দ্র মোদির প্রধান সেনাপতি অমিত শাহ। এখানে লক্ষ্য তৃণমূল বিরোধী সব রাজনৈতিক শক্তিকে বিজেপির পতাকার তলায় নিয়ে আসা। বিজেপির দাবি যে, কংগ্রেস ও সিপিএম সহ বাম শিবির এই রাজ্যে ক্রমেই অস্তিত্বহীন হয়ে উঠবে।
তৃণমূল কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ শিবিরও বিজেপির ছাতার তলায় চলে আসবে। বিজেপির কৌশলবিদদের দাবি যে, পশ্চিমবঙ্গে যে 32% সংখ্যালঘু মুসলিম রয়েছে, তাদের মধ্যে কংগ্রেস ও বাম শিবিরে থাকা তৃণমূল বিরোধী বাঙালি মুসলিমরা তাদের দিকেই চলে আসবে। অসমে 37% মুসলিমের রাজ্য হলেও বিজেপিই রাজ্যে ক্ষমতায় এসেছে।
একইভাবে পশ্চিমবঙ্গেও বিজেপি এগিয়ে যাওয়ার সমস্ত পরিকল্পনা তৈরি করে ফেলেছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দলের সভাপতি অমিত শাহ পশ্চিমবঙ্গে এসে দলীয় নেতা ও কর্মীদের উজ্জীবিত করার যে কর্মসূচি নিয়েছে তা রূপায়ণ করতে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব এখন থেকে সক্রিয় বলে দলীয় সূত্রে খবর।
0 comments:
Post a Comment