আগে রাম পরে বাম !





Indiapost24 Web Desk:পশ্চিমবঙ্গে ১৯শে এপ্রিল ৪২ আসনের লোকসভা নির্বাচনে প্রথম পর্বে উত্তরবঙ্গের কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচন।ইতিমধ্যে নরেন্দ্র মোদী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচারসভা, রোড শো সম্পন্ন হয়েছে। এই তিন আসনেই বিজেপি-তৃণমূলের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের  সম্ভাবনায় কংগ্রেস-বামেরা অনেকটাই ব্যাকফুটে।

সি পি এমের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব, এমন কি পশ্চিমবঙ্গের সি পি এমের রাজ্য নেতৃত্ব বিজেপিকেই প্রধানশত্রু হিসাবে চিহ্নিত করে প্রচারে নেমেছে। কোচবিহারে প্রায় অস্তিত্বহীন ফরোয়ার্ড ব্লক লড়ছে। এখানে আবার কংগ্রেস প্রার্থীও রয়েছেন। আলিপুরদুয়ারে আর এস পি আসরে। জলপাইওগুড়িতে কংগ্রেস সমর্থিত সি পি এম প্রার্থী রয়েছেন।

জাতীয় রাজ্যস্তরে ‘বিজেপি প্রধান শত্রু’ এই তত্ত্ব মানতে চাইছেন তৃণমূলস্তরের কমিউনিষ্ট নেতা কর্মীদের বড় অংশ। তাদের পাল্টা তৃণমূলস্তরে সি পি এমের অভ্যন্তরে বিদ্রোহ, ভাঙ্গনের সম্ভাবনা তীব্র হয়ে উঠেছে।

দ্বিতীয়পর্বে ২৬শে এপ্রিল উত্তরবঙ্গের বালুরঘাটে নির্বাচনের আগে ধাক্কা মেরেছে সি পি এম। এস এফ আই-এর প্রাক্তন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা সম্পাদক ও বর্তমানে সি পি এমের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা কমিটির গুরুত্বপূর্ণ সদস্য সুরজিত সরকার সহ সি পি এমের শতাধিক নেতা, কর্মী গেরুয়া শিবিরে যোগ দেওয়ায় নির্বাচনের মুখে ধাক্কা খেয়েছে সি পি এম।

শুধু দক্ষিণ দিনাজপুরই নয়, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, মালদহ, নদীয়া, বীরভূম, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, পশ্চিম বর্দ্ধমান, পূর্ব বর্দ্ধমান ও দুই ২৪ পরগণা থেকেও সি পি এম, সি পি আই, আর এস পি, ফরোয়ার্ড ব্লক নেতৃত্ব উদ্বেগজনক খবর পাচ্ছেন। বাম-কংগ্রেস প্রার্থী থাকা সত্ত্বেও বাম শিবিরের তৃণমূলস্তরে বিদ্রোহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসকে হারাতে তাই দল ও বাম জোটের অন্দরে ‘আগে রাম পরে বাম’ তত্ত্ব ছড়িয়ে পড়েছে।

সিপি এম বা বামপন্থীদের ঘুরে দাঁড়ানো আসন লাভের সম্ভাবনা ক্রমেই স্তিমিত হয়ে  পড়েছে। মহম্মস সেলিম মুর্শিদাবাদ থেকে জিতিতে তৃণমূলের সঙ্গে গোপন বঝাপড়া করেছেন বলে সরব বিজেপি। সামগ্রিক ভাবে বাম-কংগ্রেস শিবিরের তৃণমূলস্তরে বিদ্রোহ পরিস্থিতিতে বিজেপি-তৃণমূলের রাজনৈতিক মেরুকরণ তীব্র হতে চলেছে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।

Share on Google Plus Share on Whatsapp



0 comments:

Post a Comment