Indiapost24 Web Desk:কোচবিহার থেকেই উত্তরবঙ্গে আনুষ্ঠানিক ভোট প্রচার শুরু করলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ মাথাভাঙার গুমানির হাট উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে তৃণমূল প্রার্থী জগদীশচন্দ্র বাসুনিয়ার সমর্থনে সভা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সভা থেকে স্বভাবসিদ্ধভঙ্গিতেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী আক্রমণ করেন বিজেপিকে। তুলোধনা করেন মোদী সরকারকে। তবে উল্লেখযোগ্য হল যে, সভার শুরুতে কোচবিহারে দাঁড়িয়ে মমতা চাঁচাছোলা ভাষায় নিশানা করেন দক্ষিণবঙ্গের এক পদ্ম প্রার্থীকে!
এ দিন বক্তব্যের শুরুতেই একুশের বিধানসভা নির্বাচনের সময় কোচবিহারের শীতলকুচিতে ঘচে যাওয়া গুলি কাণ্ডের কথা মনে করিয়ে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সূত্রেই ঝাঁঝালো আক্রমণ করেন বীরভূমের বিজেপি প্রার্থী দেবাশিস ধরকে।
দেবাশিসবাবু আইপিএস পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন সম্প্রতি। তারপরই তাঁকে বিজেপি বীরভূমের প্রার্থী করেছে তৃণমূলের তিনবারের সাংসদ শতাব্দী রায়ের বিরুদ্ধে। একুশের বিধানসভা ভোটের সময় শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে ভোটারদের গুলি করে মারার অভিযোগ ওটে। তখন ওই জেলার পুলিশের দায়িত্বে ছিলেন আইপিএস দেবাশিস ধর। পরে ওই ঘটনার প্রেক্ষিতে রাজ্য সরকার দেবাশিস ধরের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে।
শীতলকুচির ওই ঘটনা ও দেবাশিসকে বিজেপির প্রার্থী করা নিয়ে এ দিন মুখ খোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শীতলখুচির গুলি কাণ্ড নিয়ে সরাসরি বীরভূমের বিজেপি প্রার্থীকে দায়ী করেছেন তিনি। বলেন, ‘শীতলকুচিতে নির্বাচনের সময়ে লাইনে দাঁড়ানো পাঁচজনকে গুলি করে মেরেছিল। সকলেই সংখ্যালঘু। ভোট চলাকালীন এসেছিলাম ছুটে। যে লোকটির নির্দেশে হয়েছিল তাঁর বিরুদ্ধে সরকারের দু’টি ডিপি চলছে। ভিজিল্যান্স ক্লিয়ার হয়নি। কিন্তু ভারতবর্ষের সরকার তাঁকে ক্লিয়ারেন্স দিয়ে দিয়েছে। কোনও আইনকানুন কিছু মানে না। তিনি আবার বীরভূমে গিয়ে দাঁড়িয়েছেন। শীতলকুচিতে গুলি চালিয়ে এত মানুষ মেরেও হাতের রক্ত মোছেনি।’
মুখ্যমন্ত্রীর সংযোজন, ‘কেউ এসডিপিও থেকে শুরু করে কন্সটেবল হবে, সিভিক পুলিশ, এসডিও, বিডিও ডাক্তার হবে। কিন্তু কারও অধিকার নেই কোনও রাজনৈতিক দলের দালালি করে মানুষের প্রাণ কেড়ে নেব।’
মমতার অভিযোগ, ‘তাঁর সাফ কথা, বিজেপির নীতি এক দেশ, এক রাজনৈতিক দল। কোনও বিরোধী দলকে তাঁরা টিকতে দেবে না।’
0 comments:
Post a Comment