সিএএ অস্ত্রে মরচে পড়েছে?




Indiapost24 Web Desk:লোকসভা নির্বাচনে  আগে মোদী সরকার বিতর্কিত নাগরিক সংশোধনী আইনের বাস্তব রূপ দেওয়ার পর নেতিবাচক প্রভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অসম অ উত্তর পূর্বে সি এ এ প্রয়োগে কোন কারযকর ভূমিকা নেয়নি। বরাকের ১ ব্যক্তি নাগরিক সংশোধনী আইনে দেশের নাগরিক হওয়ার আবেদন জানিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গেও সি এ এ র তেমন প্রভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। এর ফলে নির্বাচনের আগে প্রমাদ গুনছেন গেরুয়া শিবিরের নেতারা। যদিও বিজেপির মাতুয়া নেতা তথা মোদী সরকারের কেন্দ্রীয় রাষ্ট্র মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর মনে করছেন নাগরিক সংশোধনী আইনের ব্যপক প্রভাব পড়বে ভোট যন্ত্রে।  

বিজেপির পশ্চিমবঙ্গের নেতারা সি এ এ রূপায়ণে পর উজ্জিবীত হকেও এখন এ নিয়ে বেশী উৎসাহ দেখাচ্ছেন না। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পোর্টালে তেমন আবেদন জমা পড়েনি। সামাজিক ধর্মীয় অ রাজনৈতিক উৎপীড়নের কারনে  সাবেক পূর্ব পাকিস্থান,  বর্তমান বাংলাদেশ থেকে আগত হিন্দু দলিত মাতুয়া সম্প্রদায়ের  শরণার্থী দের মধ্যে সি এ এ তেমন কোন প্রভাব না ফেলায় বনগাঁ, রানাঘাট সহ একাধিক লোকসভা  কেন্দ্রের ফলাফল নিয়ে বেজায় চিন্তায় পড়েছেন বিজেপির ভোট কৌশলীরা। অসম ত্রিপুরা  সহ উত্তর পূর্বে নাগরিক সংশোধনী আইনের প্রভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। অমিত শাহের  মাতুয়া কারডে সি এ এ অস্ত্র যে ভোঁতা হতে চলেছে তাতে চিন্তায় গেরুয়া শিবির। সাবেক পূর্ব পাকিস্থান,  বর্তমান বাংলাদেশ থেকে আগত  লক্ষ লক্ষ হিন্দু দলিত উদবাস্তুরা ইতিমধ্যে ভারতীয় আইন মেনে রেশন কার্ড ভোটার পরিচয় পত্র এমন কি প্যান ো আঁধার কার্ড পেয়েছেন। স্বাভাবিকভাবে তারা এখন বৈধ ভারতীয় নাগরিক। তাই নতুন করে নাগরিক সংশোধনী আইনের নাগরিকক হওেয়ার আবেদন জানাতে দ্বিধায় হিন্দু মাতুয়া দলিতরা।

নির্বাচনের মুখে নাগরিক সংশোধনী আইন রূপ দিয়ে বিজেপির বাজিমাতের কৌশল  যে তেমন কাজে আসছে না তা একান্তে কবুল করছেন বিজেপির অন্দরমহল। সি এ এ নাগরিক সংশোধনী আইনের যে এবারের নির্বাচনে ব ইজেপিকে ডিভিডেন্ট দেবে না তা নিয়ে নিশ্চিত রাজনৈতিক মহল।

বিজেপির চাণক্য অমিত শাহ এর নাগরিক সংশোধনী আইনে অস্ত্র মরচে পড়ায় বেজায় খুশী তৃণমূল কংগ্রেস  সিপিএম সন ইন্ডিয়া জোটের নেতা নেত্রীরা।

Share on Google Plus Share on Whatsapp



0 comments:

Post a Comment