Indiapost24 Web Desk:অধীর চৌধুরীর এক মন্তব্যে বিতর্কের ঝড় উঠেছে। যদিও কংগ্রেসের বক্তব্য, দলের রাজ্য সভাপতির পুরো বক্তব্য প্রকাশ না করে অযথা পরিস্থিতি ঘোরালো করতে চাইছে তৃণমূল ও বি জে পি। কিন্তু এবার কি বহরমপুর জয়ের ব্যাপারে চাপে রয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি? গতবার তাঁর গড় প্রায় একাই রক্ষা করেছিল বহরমপুর বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটাররা। ওই এলাকার লিডেই ধরাশায়ী হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস ও বি জে পি।
এবার অধীরকে হারাতে প্রধানমন্ত্রীর রাজ্য গুজরাট থেকে দেশের প্রাক্তন ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠানকে নিয়ে এসেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী চিকিৎসক নির্মল কুমার সাহা। কিন্তু এবারও বহরমপুর কতটা অধীর চৌধুরীর পাশে দাঁড়াবে সেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই লোকসভা কেন্দ্রের অধীনে কোনও বিধানসভা আসনেই কংগ্রেস ক্ষমতায় নেই। বহরমপুর বিধানসভা আসন বি জে পি-র দখলে, বাকি ৬ আসন ঘাসফুল শিবিরের। যদিও লোকসভা নির্বাচনে এই সব হিসেব কখনও সরলরেখায় চলে না।
এবার দেখে নেওয়া যাক গত লোকসভা নির্বাচনে বহরমপুর বিধানসভা এলাকা থেকে কত ভোটের লিড পেয়েছিলেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর থেকে অধীর চৌধুরী এই এলাকা থেকে ৮৯,০৬১ ভোটের লিড পেয়েছিলেন। যা অন্য পিছিয়ে যাওয়া বিধানসভা এলাকার ঘাটতি পুষিয়ে দিয়েছিল। ভরতপুর, রেজিনগর ও বেলডাঙা বিধানসভা এলাকায় পিছিয়ে ছিলেন অধীর চৌধুরী।
বহরমপুর ছাড়া এগিয়ে ছিলেন বড়ঞাঁ, কান্দি ও নওদায়। ৩০ বছর পর ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে বি জে পি প্রার্থী সুব্রত মৈত্র এই কেন্দ্র থেকে ২৬,৮৫২ ভোটে জয়ী হয়েছিলেন। মুর্শিদাবাদ কেন সারা রাজ্যেই কংগ্রেস কোনও আসন পায়নি ২০২১-
এ। পরবর্তীতে মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি বিধানসভা উপনির্বাচনে জয় পেলেও কংগ্রেস বিধায়ক বায়রন বিশ্বাস তৃণমূলে যোগ দেন।
১৯৯১ সাল থেকে টানা বহরমপুর বিধানসভা কেন্দ্রে জয় পেয়েছে কংগ্রেস। তবে ২০০৬-এ কংগ্রেসের মনোজ চক্রবর্তী নির্দল প্রার্থী হিসাবে অধীর চৌধুরীর সমর্থনে জয় পেয়েছিলেন। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বহরমপুর কেন্দ্রে ৬৯ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছিলেন কংগ্রেস প্রার্থী মনোজ চক্রবর্তী। বহরমপুর বিধানসভা কেন্দ্র কি এবারও খেলা ঘোরাতে পারবে? এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে রাজনৈতিক মহলে।
0 comments:
Post a Comment