আরজি করের নিরাপত্তায় এবার কেন্দ্রীয় বাহিনী

 



Indiapost24 Web Desk: আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনা ভয়াবহ। এই ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা গ্রহণ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। মঙ্গলবার শীর্ষ আদালতে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ এইভাবেই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। সেই সঙ্গে যেভাবে নির্যাতিতার নাম, ছবি-সহ পরিচয় সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো হয়েছে তা উদ্বেগজনক বলে প্রতিক্রিয়া প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের। একইসঙ্গে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের নিরাপত্তায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।

এদিন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, ‘আমরা আরজি কর হাসপাতালে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করছি।’ চিকিৎসকরা যাতে নিরাপত্তার অভাব বোধ না করেন এবং কাজে ফিরতে পারেন সেই জন্য এমন সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

আরজি করে মহিলা চিকিৎসক ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় গোটা বাংলা-সহ ভারত উত্তাল। বিচারের দাবিতে হাসপাতাল চত্বরে জুনিয়র ডাক্তারদের বিক্ষোভ চলছে। হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এরই মধ্যে গত ১৪ আগস্ট মধ্যরাতে রাতদখলের কর্মসূচি ছিল। সেই কর্মসূচি ঘিরে অশান্ত হয় আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ। একদল দুষ্কৃতী হাসপাতালে ঢুকে চিকিৎসকদের বিক্ষোভ-ধরনা মঞ্চে ভাঙচুর চালায়। ভাঙচুর করা হয় এমার্জেন্সি বিভাগ। তার পর থেকেই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিলেন চিকিৎসকরা। যতক্ষণ না তাঁদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে ততক্ষণ তাঁরা কাজে ফিরবেন না বলে জানিয়েছিলেন। আন্দোলনরত চিকিৎসকদের এ বার কাজে ফেরার অনুরোধ করলেন প্রধান বিচারপতি।

এদিন পুলিশের ভূমিকা নিয়েও উষ্মা জানিয়েছে আদালত। আরজি কর হাসপাতালে ভাঙচুরের ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে শীর্ষ আদালত। সামগ্রিক ঘটনায় প্রশ্ন তুলে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘প্রথমে সঠিকভাবে এফআইআর করা হয়নি। পুলিশ কী করছিল! একটা হাসপাতালের মধ্যে এত বড় ঘটনা ঘটে গেল। পুলিশ হাসপাতাল ভাঙচুর করার অনুমতি দিচ্ছিল?’

মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘এটা নির্দিষ্ট কোনও ঘটনা নয়। আমরা দেশ জুড়ে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব। চিকিৎসকরা যাতে নিরাপদে কাজ করতে পারেন সেই দিকটি নিশ্চিত করা দরকার।’

Share on Google Plus Share on Whatsapp



0 comments:

Post a Comment