Indiapost24 Web Desk:সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক তথা ভারতের বামপন্থী শিবির, এমন কি ইন্ডিয়া জোটের রাজনৈতিক তাত্বিক সীতারাম ইয়েচুরির আকস্মিক মৃত্যুতে জোর ধাক্কা খেয়েছে দল হিসাবে সি পি এম। সীতারাম ইয়েচুরির মত ঠান্ডা মাথার বুদ্ধিদীপ্ত নেতার অকাল প্রয়াণে সি পি এমের অভ্যন্তরীণ সংকট আরো বাড়তে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।
সীতারাম ইয়েচুরির মৃত্যুতে দলের বেঙ্গল লাইনপন্থী, কংগ্রেস ঘেঁষা অংশ যে অপ্রস্তুত অবস্থায় পড়েছে তা নিয়ে নিশ্চিত বামপন্থী মহল। ইয়েচুরির অবর্তমানে প্রকাশ কারাতের মত কট্টর কংগ্রেস বিরোধী নেতার উপদল যে আবার দলকে বিজেপির পাশে কংগ্রেস বিরোধিতার লাইনে নিয়ে যেতে চাইছেন তা নিয়ে একমত রাজনৈতিক মহল।
প্রকাশ কারাত বিজেপি-আর এস এসের ‘হিন্দু সাম্প্রদায়িক ও ফ্যাসিবাদী’ রাজনৈতিক ধারার পাশে কংগ্রেস সম্পর্কে তার ও তার উপদলের এলার্জিকে নতুন করে সামনে আনতে পারেন। দলের পরবর্তী সাধারণ সম্পাদক হিসাবে প্রকাশ কারাত নিজে অথবা বৃন্দা কারাতকে সামনে রেখে সি পি এম নিয়ন্ত্রনের রাস্তায় যেতে পারেন বলেই মনে করা হচ্ছে। ইয়েচুরির মৃত্যুতে যে কংগ্রেসের নেতৃত্বে গড়া ইন্ডিয়া জোটের বড় ক্ষতি হল তা মানছেন বামপন্থী মহল এবং কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা।
বিজেপি-আর এস এসের বিরুদ্ধে তাত্বিক লড়াই ও বিকল্প ইন্ডিয়া জোট গড়ার ক্ষেত্রে সি পি এমের প্রয়াত সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির অবদান মানছেন রাজনৈতিক মহল। কার্যত বিজেপির বিরুদ্ধে কর্মসূচীর ভিডিতে ইন্ডিয়া জোট গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন। ইয়েচুরির মৃত্যুতে কমিউনিষ্ট ও বামপন্থী শিবিরের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক শক্ত বিজেপির নেতারাও শোকাহত। ইয়েচুরির সঙ্গে এক ডজন বিজেপি নেতাদের ব্যক্তিগত সম্পর্ক ও বন্ধুত্ব ছিল। তার মৃত্যুতে সি পি এম যে কট্টরপন্থী কারাত শিবিরের হাতে চলে গেল তা একান্তে কবুল করছে দেশের বামপন্থী রাজনীতির পর্যবেক্ষকরাও।
0 comments:
Post a Comment