সংসদে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পররাষ্ট্র নীতির তীব্র সমালোচনা করল প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস। আজ (বৃহস্পতিবার) রাজ্যসভায় কংগ্রেসের সিনিয়র নেতা আনন্দ শর্মা ভারতের প্রতিবেশী বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতির কথা উত্থাপন করেন।
আনন্দ
শর্মা সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ক্রেডিট নেয়া প্রসঙ্গে
বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমেরিকায় যাওয়ার পর বলেন, ভারতের ক্ষমতার সামনে বিশ্ব
মাথা নত করেছে। বিশ্ব ভারতের ক্ষমতাকে মেনে নিয়েছে, তাকে স্বীকার করে
নিয়েছে।
আনন্দ শর্মা
বলেন, ‘ ভারতের শক্তিকে তো বিশ্ব মেনে নিয়েছে কিন্তু পাকিস্তান মানছে না।
সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পর অনেক ঘটনা ঘটেছে যা বন্ধ হচ্ছে না। ১৯৭১ সালে
সেনাবাহিনী বড় জয় পেয়েছিল। কিন্তু তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী এ
ধরণের কোনো বিবৃতি দেননি।’
তিনি
বলেন,‘পাকিস্তান ইস্যুতে সরকারের নীতি স্পষ্ট নয়। প্রথমে আলোচনার কথা বলা
হল কিন্তু একবারেই তা শেষ করে দেয়া হলো। এমন কী হয়েছিল যে ভারতের
প্রধানমন্ত্রীকে আফগানিস্তান সফর থেকে ফেরার সময় লাহোরে চলে যেতে হয়েছিল?
প্রধানমন্ত্রী যখন পাকিস্তানের মাটিতে পা রাখেন তখন তিনি সালামি বা গার্ড
অব অনার পাননি বরং উপহারস্বরূপ সন্ত্রাসী হামলা পেয়েছেন।’
তিনি বলেন, ৬৫ বার বিদেশ সফর করে কী ফল পাওয়া গেছে তা সংসদে প্রধানমন্ত্রীর তা জানানো উচিত।
আনন্দ শর্মা
বলেন, ‘ভারতের পক্ষ থেকে পাকিস্তানকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়ার দাবি ভুল
প্রমাণিত হয়েছে। ভারতকে এ ধরণের দাবি করা উচিত নয়। আমরা পাকিস্তানকে একঘরে
করে দিয়েছি এ ধরণের কথাই বা কেন বলা হচ্ছে? একটি দায়িত্বশীল দেশ এ ধরণের
বিবৃতি দেয় না। পাকিস্তান ও চীনের মধ্যে, পাকিস্তান ও তুরস্কের মধ্যে কী
ভালো সম্পর্ক নেই? পাকিস্তান কী বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে সেনাবাহিনীর মহড়া
চালায় নি?’
আনন্দ শর্মা
বলেন, ‘প্রতিবেশি নেপালের সঙ্গে আমদের সম্পর্ক বেশ জটিল। সেখানকার সমস্যা
বোঝা প্রয়োজন। আমাদের এমন কিছু করা উচিত নয় যাতে নেপালের সঙ্গে সম্পর্ক
খারাপ হয়। নেপালের সঙ্গে আমাদের পদক্ষেপ বড়ভাইয়ের মতো হওয়া উচিত নয়।’
শ্রীলংকার
সঙ্গে সম্পর্ক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সরকার তাদের ঠিকভাবে হ্যান্ডেল করতে
পারছে না। আনন্দ শর্মা বলেন, চীন পাকিস্তানে বন্দর তৈরি করছে, মালদ্বীপ
হাতের বাইরে চলে গেছে। আমরা তাদের সঠিকভাবে পরিচালনা করতে পারছি না।
আনন্দ শর্মা
বলেন, ‘দোকালাম ইস্যুতে চীনের অবস্থান খুব আক্রমণাত্মক ও তাদের বিবৃতি খুব
উদ্বেগের। চীনা প্রেসিডেন্ট দু’বার ওই ইস্যুতে বিবৃতি দিয়েছেন। কিন্তু
ভারতের জবাব কী?’ প্রধানমন্ত্রী ওই ইস্যুতে চুপ থাকতে পারেন না বলেও আনন্দ
শর্মা মন্তব্য করেন।
0 comments:
Post a Comment