" এলাকায় জন্ম,মৃত্যু বা বিয়েতে দিতে হবে তাদের মদ খাবার টাকা,নইলে মারধর ও ভাংচুর,তবে কারা তারা ? "

স্নেহাশিষ মুখার্জি : নদিয়ার শান্তিপুর থানার অন্তর্গত ফুলিয়া বয়ড়ার, বেলঘরিয়া সর্দার পাড়ায় রাত্রিরে মদ খাওয়ার টাকা না দেওয়ায় চলে ব্যাপক মারধর ভাংচুর | অভিযোগ গতকাল রাত্রিরে পাড়ারই কিছু বখাটে ছেলে ফেলুরাম সর্দারের বাড়ী চড়াও হোয়ে তার ভাই পিণ্টু সর্দারের নতুন বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার কারণে মদ খাওয়ার জন্য টাকার দাবি করে | পিণ্টু সেইমুহূর্তে তাদের টাকা না দিয়ে সকালে আসতে বললে তারা গালিগালজ করতে করতে চলে গেলেও প্রায় আধঘণ্টা পরে বাঁশের লাঠি , লোহার রড নিয়ে পুণরায় ফেলুরাম সর্দারের বাড়ী চড়াও হয় |

কিছু বুঝে না উঠতেই ফেলুরাম সর্দারের ছেলে সুকুমার সর্দারকে এলোপাথারি মারতে থাকে পাড়ারই বখাটে ছেলে সুব্রত | ছেলে সুকুমারকে সুব্রতর আক্রোশ থেকে রক্ষা করতে গেলে অভিজিৎ ও বুবাই নামে আরও দুজন পাড়ারই বখাটে ছেলের হাতে ফেলুরাম সর্দার লোহার রড দ্বারা মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হন | ফেলুরাম মাথায় রডের আঘাতে মাটিতে লুটিয়ে পরলে সুব্রত সেই অবস্থায় বাঁশ দিয়ে তাকে মারতে থাকে | এরপর ফেলুরাম ও তার পুত্র সুকুমারের চীৎকারে পাড়ার লোক ছুটে এলে সুব্রতরা পালিয়ে যায় | আশঙ্কাজনক অবস্থায় ফেলুরামকে ফুলিয়া হসপিটালে নিয়ে গেলে তাকে মাথায় পাঁচটি সেলাই দেওয়া হয় |
বৰ্তমানে ফুলিয়া হসপিটালে বাবা ও ছেলে চিকিৎসাধীন | এই মৰ্মে শান্তিপুর থানায় আজ একটি ডায়রি করা হয় | ফেলুরাম আমাদেরকে জানান " এলাকায় এদের ভয়ে মা বোনেরা রাস্তা দিয়ে জেতে পারেনা | মদ , জুয়া আর মেয়েদের হেনস্থা করাটাই এদের এখন একমাত্র পেশা | প্রতিবাদ করলেই জুটবে মারধর | রাত্রি ১টা পর্যন্ত্য এরা বাড়ির বাইরে কি করে ? এদের পরিবারের লোকেরাই বা কেমন যে এদের কুকর্মকে প্রশ্রয় দেয় "? স্থানীয় সূত্রে জানা যায় যে এই তিন মূর্তি বিগত দিনেও প্রতিনিয়ত মানুষের কাছ থেকে এইভাবে চমকে টাকা আদায় করে চলেছে | এলাকায় জন্ম , মৃত্যু ,বা বিয়ের মত কোন সামাজিক অনুষ্ঠান হোক না কেন দিতে হবে তাদের মদ খাবার টাকা | না হলে পরিনিতি হবে ফেলুরামের মত | তাঁদের আপসোস যারা এধরণের কাজের সাথে যুক্ত এঁবং এলাকার শান্তি বিঘ্নিত করছে তারা আদৌ কি পুলিশের হাতে ধরা পরবে ? উত্তর চাইছে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে এলাকার মানুষ |
Share on Google Plus Share on Whatsapp



0 comments:

Post a Comment