কাগজের কাপে চা ! আর না !.

চায়ের কাপের বিবর্তন ঘটেই চলেছে চায়ের দোকানগুলিতে | এক সময় কাচের গ্লাস এলো , মনে হলো কাচের গ্লাস এর কোন বিকল্প নেই | তারপর প্লাস্টিকের কাপ | প্লাস্টিকের কাপের মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব দোকানদারকে থার্মোকল নিতে বাধ্য করালো |থার্মোকলও প্লাস্টিক থেকে কম নয় , ফলে আবারও বিকল্প খোঁজা চলছে , আর সেই খোঁজ থেকে পরিবেশ বান্ধব কাগজের কাপ |
কাগজের কাপও কিন্তু মোটেও নিরাপদ না , পরিস্থিতির সাপেক্ষে প্লাস্টিক ও থার্মোকল থেকেও বিপজ্জনকও বটে |
কাগজের কাপকে ঠান্ডা জল , গরম জল ও তরল নিরোধী করতে কাগজের কাপের ভিতরে ও বাইরে দুই পাশেই মোমজাতীয় উপদানের পাতলা একটি জামা পড়াতে হয় |
এই জামা মূলত তৈরি পলিইথিলিন , প্যারাফিন জাতীয় যৌগ দিয়ে | গরম চায়ের গরমে এই যৌগগুলি চায়ে মিশে যায় | আর চা থেকে পাচনতন্ত্র ও পাকস্থালীতে পৌঁছে যায় সহজেই | দীর্ঘদিন ধরে যৌগগুলি পাকস্থলীতে জমতে জমতে সম্পূর্ণ পাচনতন্ত্রকে ক্ষতিগ্রস্ত করে ফেলে |
ফলে আপনি যতোই ভালো খান না কেন , কোন কিছুই আর ঠিক করে পাচিত হবে না , নিয়মিত অ্যাসিডিটি আপনায় নরক যন্ত্রনা দিতে থাকবে , প্রতি রাতে ব্যাপারটা অসহনীয় হয়ে উঠবে | তারপর সমস্ত শরীর পাচিত খাবারের মৌলিক উপাদানের অভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকবে |

মানে দীর্ঘদিন ধরে কাগজের কাপ ব্যবহার করলেই আপনার নরক দর্শন নিশ্চিত | তার সাথে কাগজের কাপ ব্যবহার আসলে গাছকাটাকে প্রভাবিত করছে , মানে আপনার কাগজের কাপে চা খাওয়াটাও বিশ্ব উষ্ণায়নের একটি উপাদানও |প্লাস্টিক থার্মোকলের কাপের ব্যবহার তো বন্ধ করতেই হবে , কাগজের কাপও তাই | বিকল্প কিন্তু আপনাদের সামনেই আছে মাটির ভাঁড়..



(তথ্য সরবরাহ  : রাহুল)
Share on Google Plus Share on Whatsapp



0 comments:

Post a Comment