পিলসুজের দৈর্ঘ্য যত বাড়ছে তার তলায় জমে থাকা নিকষ অন্ধকারও তত বিস্তৃত হচ্ছে। পুঁজিবাদী ও সাম্রাজ্যবাদী অর্থনীতির অবাধ শোষণের ফলে পৃথিবী জুড়ে নির্লজ্জ ভাবে বাড়ছে ধনবৈষম্য। এমন উদ্বেগজনক তথ্য আবার সামনে এল। দুনিয়ার ১% ধনীর কাছে গচ্ছিত রয়েছে অর্ধেক সম্পত্তি। অন্য দিকে বিশ্বের দরিদ্রতমদের মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৫০ কোটিতে। এদের হাতে রয়েছে বিশ্বের মোট ধনের মাত্র ২.৭%। এমনই তথ্য প্রকাশ পেয়েছে সাম্প্রতিক ক্রেডিট সুইস গ্লোবাল ওয়েলথ রিপোর্টে।
২০০৮ সালে বিশ্বজোড়া আর্থিক মন্দার ফায়দা লুটেছিল বিশ্বের ধনীরা অর্থাৎ সাম্রাজ্যবাদী ও পুঁজিবাদীরা। ওই সঙ্কটের মাঝামাঝি সময় থেকে তাদের ঐশ্বর্যের পরিমাণ ৪২.৫% থেকে এ পর্যন্ত ৫০.১% বেড়েছে বলে রিপোর্টে জানা গিয়েছে। ক্রেডিট সুইস রিপোর্ট অনুযায়ী বিশ্বের ধনীতম ১% ব্যক্তির কাছে বর্তমানে রয়েছে মোট ১০৬০০০০০ কোটি পাউণ্ড, বর্তমান বাজার মূল্য যার প্রায় ৯১০৮৫৮০০০০০০০০০০ টাকা। গোটা মার্কিন অর্থনীতির যা প্রায় আট গুণ। এদের মধ্যে শীর্ষ ১০% বিশ্বের মোট ধনের ৮৭.৮%- এর মালিক।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘২০০৮ সালের পরে বিশ্ব অর্থনীতির নিন্মমুখী খাত বদলে যায় এবং শীর্ষতম এক শতাংশের সম্পত্তির পরিমাণ বাড়তে থাকে। ২০১৩ সালের পর থেকে তা নতুন নতুন শিখর সৃষ্টি করে চলেছে।’ এর জেরে বিশ্বজুড়ে কোটিপতির সংখ্যা প্রচুর পরিমাণে বেড়েছে বলে রিপোর্টে প্রকাশ পেয়েছে। জানা গিয়েছে, ২০০০ সালের পরে বিশ্বে কোটিপতিদের সংখ্যা ১৭০% বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে এক কোটি পাউণ্ড অর্থের মালিক সারা বিশ্বে ৩.৬ কোটি, এবং তিন কোটি পাউণ্ড অর্থবানের সংখ্যা বেড়েছে ৫ গুণ। এর মধ্যে বিশ্বের ধনীতমদের ঠিকানা-তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে ব্রিটেন।
অক্সফ্যাম সংস্থার আইন বিভাগের প্রধান কেটি চক্রবর্তী সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘সাম্প্রতিক প্রারাডাইস পেপার্স ফাঁসের ফলে বিশ্বের অর্থনৈতিক অসামঞ্জস্যের পিছনে মূল কারণটি ধরা পড়েছে। দেখা গিয়েছে, প্রধানত ধনী ব্যক্তিবিশেষের ও বহুজাতিক সংস্থাগুলির কর ফাঁকি দেওয়ার প্রবণতা রয়েছে। রাষ্ট্রগুলির উচিত বিশ্বজোড়া অর্থনৈতিক সামঞ্জস্য, যা শ্রেণিবৈষম্য তৈরি করে, তা দূর করতে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা।’ কিন্তু ওয়াকিবহাল মহল মনে করেন শোষণমূলক এই পুঁজিবাদী অর্থনীতি বাঁচিয়ে রেখে পৃথিবী থেকে ধনবৈষম্য দূর করা সম্ভব নয়। সমাজতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থাতেই তা একমাত্র সম্ভব।
(সংগৃহীত-বার্তা )
২০০৮ সালে বিশ্বজোড়া আর্থিক মন্দার ফায়দা লুটেছিল বিশ্বের ধনীরা অর্থাৎ সাম্রাজ্যবাদী ও পুঁজিবাদীরা। ওই সঙ্কটের মাঝামাঝি সময় থেকে তাদের ঐশ্বর্যের পরিমাণ ৪২.৫% থেকে এ পর্যন্ত ৫০.১% বেড়েছে বলে রিপোর্টে জানা গিয়েছে। ক্রেডিট সুইস রিপোর্ট অনুযায়ী বিশ্বের ধনীতম ১% ব্যক্তির কাছে বর্তমানে রয়েছে মোট ১০৬০০০০০ কোটি পাউণ্ড, বর্তমান বাজার মূল্য যার প্রায় ৯১০৮৫৮০০০০০০০০০০ টাকা। গোটা মার্কিন অর্থনীতির যা প্রায় আট গুণ। এদের মধ্যে শীর্ষ ১০% বিশ্বের মোট ধনের ৮৭.৮%- এর মালিক।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘২০০৮ সালের পরে বিশ্ব অর্থনীতির নিন্মমুখী খাত বদলে যায় এবং শীর্ষতম এক শতাংশের সম্পত্তির পরিমাণ বাড়তে থাকে। ২০১৩ সালের পর থেকে তা নতুন নতুন শিখর সৃষ্টি করে চলেছে।’ এর জেরে বিশ্বজুড়ে কোটিপতির সংখ্যা প্রচুর পরিমাণে বেড়েছে বলে রিপোর্টে প্রকাশ পেয়েছে। জানা গিয়েছে, ২০০০ সালের পরে বিশ্বে কোটিপতিদের সংখ্যা ১৭০% বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে এক কোটি পাউণ্ড অর্থের মালিক সারা বিশ্বে ৩.৬ কোটি, এবং তিন কোটি পাউণ্ড অর্থবানের সংখ্যা বেড়েছে ৫ গুণ। এর মধ্যে বিশ্বের ধনীতমদের ঠিকানা-তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে ব্রিটেন।
অক্সফ্যাম সংস্থার আইন বিভাগের প্রধান কেটি চক্রবর্তী সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘সাম্প্রতিক প্রারাডাইস পেপার্স ফাঁসের ফলে বিশ্বের অর্থনৈতিক অসামঞ্জস্যের পিছনে মূল কারণটি ধরা পড়েছে। দেখা গিয়েছে, প্রধানত ধনী ব্যক্তিবিশেষের ও বহুজাতিক সংস্থাগুলির কর ফাঁকি দেওয়ার প্রবণতা রয়েছে। রাষ্ট্রগুলির উচিত বিশ্বজোড়া অর্থনৈতিক সামঞ্জস্য, যা শ্রেণিবৈষম্য তৈরি করে, তা দূর করতে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা।’ কিন্তু ওয়াকিবহাল মহল মনে করেন শোষণমূলক এই পুঁজিবাদী অর্থনীতি বাঁচিয়ে রেখে পৃথিবী থেকে ধনবৈষম্য দূর করা সম্ভব নয়। সমাজতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থাতেই তা একমাত্র সম্ভব।
(সংগৃহীত-বার্তা )
0 comments:
Post a Comment