মৃত্যুঞ্জয় সরদার :উওরপ্রদেশে নগর পালিকা ও নগর পঞ্চায়েত নিবার্চনে হিন্দুত্বের হাওয়াকে কাজে লাগিয়েও যোগি আদিত্যনাথ দলকে জেতাতে না পারায় আর এস এস শীর্ষ নেতৃত্বের উদ্বেগের ছায়া ভর করছে। এদিকে নাগপুরে আর এস এস প্রধান কার্যালয়ে গুজরাট বিধানসভা নিবার্চন নিয়ে পরপর উদ্বেগজনক খবর আসতে থাকায় নাগপুরে সংঘ নেতাদের মুখের হাসি মিলিয়ে যেতে চলছে। গুজরাটে দলিত, পাতিদার, উপজাতি, ওবিসি ও মুসলিমদের সামাজিক জোট ভর করে কংগ্রেস মোদী অমিত-শাহদের উদ্বেগের পারদ ক্রমশ বাড়িয়ে দিয়েছেন। কংগ্রেসের সহ সভাপতি রাহুল গান্ধী, অল্লেশ ঠাকুর ও হার্দিক প্যাটেলদের জন সমাবেশ ,রোড শোতে যেভাবে হাজার হাজার মানুষের ঢল নেমেছে বিজেপির কাছে তা অবিশ্বাস্য হয়ে উঠেছে।
নোটবন্দী ,জি এসটিএস,মুল্যবৃদ্ধি, বেকারি, শিল্প প্রসার বন্ধ হয়ে যাওয়া, গুজরাটের প্যাটেলের,দলিত ও ওবিসিদের প্রতিষ্ঠান বিরোধী মানসিকতাকে ভর করেই কংগ্রেস গুজরাটে প্রবল বেগে বিজেপির বিরুদ্ধে প্রচার অভিযান জোরদার করে জনমত নিজেদের নিকে টেনে আনার যে সক্রিয় তৎপরতা চালাচ্ছেন তাতে অমিত শাহের নেতৃত্বে গুজরাট বিজেপির নিবার্চন মেশিনারী কোনঠাসা অবস্থায় পড়েছে। গ্রামিন গুজরাটে পাতিদার অধ্যুষিত এলাকায় প্রচার. ও সংগঠন খামতি থাকছে। পাতিদার এলাকাগুলিতে বিজেপির নিবার্চন মেশিনারী ইতিমধ্যেই বিপর্যয়ের মধ্যে পড়েছে। বহু পাতিদার অধ্যুষিত এলাকায় জনগণের ক্রোধে বিজেপির পক্ষে বুথ এজেন্ট দেওয়াই সমস্যা হয়ে উঠেছে।
নাগপুরে থেকে সংঘ নেতারা গুজরাট সম্পর্কে তাদের নিজস্ব সুএে যে খবর পাচ্ছেন তাবে দেখা যাচ্ছে বিজেপির অভ্যন্তরেই মোদী বিরোধীরা দলীয় প্রথীদের হারাতে নাসকতার ছক করছেন ও বিরোধীদের সঙ্গে গোপনে হাত মিলিয়ে চলেছেন। স্বভাবিক ভাবেই নাগপুরে আর এস এসবের শীর্ষ কতারাও ক্রমশই গুজরাট নিয়ে শঙ্কিত হয়ে উঠেছেন৷চওড়া হাসি দেখা যাচ্ছে কংগ্রেসের গুজরাট শাখার নেতাদের মধ্যে। নিবার্চনের অগেই বিজেপি নেতাদের মুখে হারের ছায়া ভর করছে বলে মনে করছেন পযবেক্ষক মহল।এমনকি বিজেপির পক্ষে ৮০ আসন দখল করাই যথেষ্ট কষ্টসাধ্য কাজ বলেই মনে করছেন গুজরাটের রাজনৈতিক মহল।
0 comments:
Post a Comment