Indiapost24 Desk: পরীক্ষায় ফেল। তবুও সে পাশ। শুধু তাই নয়। রীতিমত কাজও করে যাচ্ছেন। এমনই ঘটনা ঘটেছে টেট-এ। আর সেটা নিয়েই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। আদৌ টেট-এর মাধ্যমে সঠিক শিক্ষক-শিক্ষিকা বাছা হয়েছিল কী ? বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে এমনই একটি মামলা ফাইল হয়েছে। শুক্রবার অথবা শীতকালীন ছুটির পর মামলাটি শুনানির জন্য বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়ের এজলাসে উঠবে।
ফাইল করেছেন ত্রিদিব বাগ নামে এক ব্যক্তি। যে টেট পরীক্ষা দিয়ে পাশ করতে পারেনি। তিনি থাকেন হুগলি জেলায়। সেখানেই এই দুর্নীতি ধরা পড়েছে। আইনজীবী শীর্ষেন্দু সিংহ রায় জানাচ্ছেন, ২০১৪ সালে যে টেট পরীক্ষাটি হয়েছিল তাতে হুগলি জেলা থেকে বেশ কয়েক লক্ষ পরীক্ষার্থী চাকরি পাওয়ার আশায় পরীক্ষায় বসেছিলেন।প্রসঙ্গত,রাজ্যের প্রতিটি জেলায় কতজন শিক্ষক নেওয়া প্রয়োজন তার ওপর ভিত্তি করেই পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল।প্রাথমিকের ক্ষেত্রেও তাই করা হয়েছে।
অনেক টাল বাহানার পর চলতি বছরের ৪ ডিসেম্বর তারিখ সফল পরীক্ষার্থীদের তালিকা প্রকাশ করে হুগলি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ । যে তালিকাটি প্রকাশ করা হয়েছিল তাতে নাম ছিল মাত্র ৫৭ জনের।অথাৎ বাকিরা পাশ করতে পারেনি তাই তালিকায় নাম ওঠেনি। সফল পরীক্ষার্থীদের হাতে নিয়োগ পত্র তুলে দেওয়া হয় ৬ডিসেম্বর। তারা নিয়োগ পত্র নিয়ে কাজেও যোগ দিয়েছেন। এই তালিকা দেখেই সন্দেহ জাগে ত্রিদিব বাগের। তিনি তথ্য জানার অধিকার আইনে(আর টি আই) জেলা প্রাথমিক পর্ষদের কাছে জানতে চান আসলে ঠিক কত জন পরীক্ষায় সফল হয়েছেন।
কিন্তু সেই প্রশ্নের তিনি উত্তর পাননি। এরপর তিনি কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন। দেখা গিয়েছে, ওই সফলের তালিকায় ৭ নংএ আছে দেবলীনা আদক নামে এক ছাত্রীর। যার রোল নং ১৩০০৭৪৫৫২। ৯ নংএ আছে পল্লবী মান্না। যার রোল নং ১৩০০৮২২৬৫। এই দু’জনই পাশই করতে পারেনি। কিন্তু তারা চাকিরে যোগ দিয়েছে।
পল্লবী মান্না চাকরি করছেন হুগলি জেলার বেড়াবেড়ি পোস্ট অফিসের অন্তগত মধূসুদনপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এছাড়া হুগলির তালিকায় নাম ঢুকে পড়েছে বর্ধমানের জয়ন্ত কুণ্ডুর। তার রোল নং ১৬০০৫১৩৯০। যা কোনও ভাবেই সম্ভব নয়। এর আগে ১১ টি প্রশ্ন ভুল আছে, সেই নিয়ে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। সেই মামলাটি চলছে বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়ের এজলাসে।
এই মামলা চলাকালেই এই বেঞ্চের পযবেক্ষন,যা উঠে আসছে তাতে করে আদালত মনে করছে কোনও নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠণ করতে হবে। প্রশ্ন পত্রের পর এবার নিয়োগের স্বচ্ছতা নিয়ে মামলা ফাইল। যার ফলে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ যে হাইকোর্টে বেজায় ধাক্কা খেতে চলেছে তা বলাই বাহুল্য।
ফাইল করেছেন ত্রিদিব বাগ নামে এক ব্যক্তি। যে টেট পরীক্ষা দিয়ে পাশ করতে পারেনি। তিনি থাকেন হুগলি জেলায়। সেখানেই এই দুর্নীতি ধরা পড়েছে। আইনজীবী শীর্ষেন্দু সিংহ রায় জানাচ্ছেন, ২০১৪ সালে যে টেট পরীক্ষাটি হয়েছিল তাতে হুগলি জেলা থেকে বেশ কয়েক লক্ষ পরীক্ষার্থী চাকরি পাওয়ার আশায় পরীক্ষায় বসেছিলেন।প্রসঙ্গত,রাজ্যের প্রতিটি জেলায় কতজন শিক্ষক নেওয়া প্রয়োজন তার ওপর ভিত্তি করেই পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল।প্রাথমিকের ক্ষেত্রেও তাই করা হয়েছে।
অনেক টাল বাহানার পর চলতি বছরের ৪ ডিসেম্বর তারিখ সফল পরীক্ষার্থীদের তালিকা প্রকাশ করে হুগলি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ । যে তালিকাটি প্রকাশ করা হয়েছিল তাতে নাম ছিল মাত্র ৫৭ জনের।অথাৎ বাকিরা পাশ করতে পারেনি তাই তালিকায় নাম ওঠেনি। সফল পরীক্ষার্থীদের হাতে নিয়োগ পত্র তুলে দেওয়া হয় ৬ডিসেম্বর। তারা নিয়োগ পত্র নিয়ে কাজেও যোগ দিয়েছেন। এই তালিকা দেখেই সন্দেহ জাগে ত্রিদিব বাগের। তিনি তথ্য জানার অধিকার আইনে(আর টি আই) জেলা প্রাথমিক পর্ষদের কাছে জানতে চান আসলে ঠিক কত জন পরীক্ষায় সফল হয়েছেন।
কিন্তু সেই প্রশ্নের তিনি উত্তর পাননি। এরপর তিনি কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন। দেখা গিয়েছে, ওই সফলের তালিকায় ৭ নংএ আছে দেবলীনা আদক নামে এক ছাত্রীর। যার রোল নং ১৩০০৭৪৫৫২। ৯ নংএ আছে পল্লবী মান্না। যার রোল নং ১৩০০৮২২৬৫। এই দু’জনই পাশই করতে পারেনি। কিন্তু তারা চাকিরে যোগ দিয়েছে।
পল্লবী মান্না চাকরি করছেন হুগলি জেলার বেড়াবেড়ি পোস্ট অফিসের অন্তগত মধূসুদনপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এছাড়া হুগলির তালিকায় নাম ঢুকে পড়েছে বর্ধমানের জয়ন্ত কুণ্ডুর। তার রোল নং ১৬০০৫১৩৯০। যা কোনও ভাবেই সম্ভব নয়। এর আগে ১১ টি প্রশ্ন ভুল আছে, সেই নিয়ে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। সেই মামলাটি চলছে বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়ের এজলাসে।
এই মামলা চলাকালেই এই বেঞ্চের পযবেক্ষন,যা উঠে আসছে তাতে করে আদালত মনে করছে কোনও নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠণ করতে হবে। প্রশ্ন পত্রের পর এবার নিয়োগের স্বচ্ছতা নিয়ে মামলা ফাইল। যার ফলে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ যে হাইকোর্টে বেজায় ধাক্কা খেতে চলেছে তা বলাই বাহুল্য।
0 comments:
Post a Comment