অর্পিতা সিনহা,বাঁকুড়া:প্রচন্ড আলোড়নে পর্বত থেকে শিলারাশি যেমন খসে পড়ে কিংবা উদ্বেলিত সিন্ধু যখন পাগলের মত মেতে উঠে ঠিক তেমনি প্রত্যেক মানুষের মন ও উড়ে চলে যায় স্বপ্নের টানে সুদূরে। মনের কল্পনার তো আর কোনো সীমা থাকে না । তাই মন ছুটে বেড়ায় দিগন্ত থেকে দিগন্তে।আর তখনই মানুষের মনের সুপ্ত ইচ্ছা গুলো স্বপ্নের মাধ্যমে জীবন্ত হয়ে উঠে।
এমনই এক স্বপ্নের জগতের চিত্র তুলে ধরেছেন মুর্শিদাবাদের বহরমপুর কেন্দ্রীয় সংশোধানাগার এবং লালগোলা মুক্ত সংশোধনাগারের সুপারিনটেনডেন্ট দেবাশীষ চক্রবর্তী তাঁর স্বরচিত ও আবৃত "চেঙ্গিজ " নামক কবিতাটিতে।
তিনি বলতে চেয়েছেন আমজনতার তকমা নিয়ে বেঁচে থাকা একজন সাধারণ মানুষও চায় যেন তার সমস্ত সত্ত্বা থরথর আবেগে ফুলের ঘ্রাণে মত্ত হয়ে উঠুক ও স্বপ্নের রোশানাই নিয়ে আসুক তার একান্ত নিজস্ব সময়কে ঘিরে। যার ফলে সে কল্পনায় নিজেকে ছাপিয়ে মহীরূহ হবার স্বপ্ন দেখেতে পারে।
যেমন তার কল্প রাজ্যের আঙিনায় চেঙ্গিজ আসে ঘোড়া ছুটিয়ে। সুপারিনটেনডেণ্ট দেবাশীষ চক্রবর্তী তাঁর এই কবিতায় বলতে চেয়েছেন যে প্রতিটি মানুষই জীবনের কোন না কোনো সময়ে কল্পনায় নিজেকে চেঙ্গিজ বলে মনে করে তখন সে তার পুরাতন দিনের বস্তার নিচে চাপা পড়া ফুলসজ্জার রাতের পর হারিয়ে যাওয়া সেই নাগরাই এর খোঁজ পায় সঙ্গে সঙ্গে তার কল্পনায় ধারালো বিরাট এক তলোয়ার খাপ থেকে বেরিয়ে ঝলসে উঠে এবং মালভূমির ছায়া ফেলে রেখে ঢালু পথে ধাক্কা খেতে খেতে বুনো ঘোড়া ছুটিয়ে নিয়ে যায় সুদূরে।
এইভাবেই প্রতি শুক্রবার শেষ রাতে কেরানী হরিপদ বারান্দায় চেঙ্গিজ খাঁ হয়ে উঠে। অবশেষে ক্লান্ত হয়ে সে যখন কল্পনার জগৎ থেকে বাস্তবে ফেরে তখন সে দেখে তার জাঁদরেল বউ আধভেজা তোয়ালে ও মোবাইল পাশে নিয়ে নিদ্রামগ্ন।
0 comments:
Post a Comment