অক্ষম মানুষই কটুক্তি করে,ক্ষমা চেয়ে ফোনালাপ বিতর্কের ইতি টানলেন শিল্পী কবীর সুমন!!

 

নাজমুল হাসান,কলকাতা:একটি  বেসরকারি বাংলা টিভি চ্যানেলের এক তরুণ সাংবাদিকের সঙ্গে তাঁর ফোনালাপ ঘিরে বিতর্ক তৈরি। ভাইরাল হওয়া তাঁর অডিও ক্লিপ ঘিরে বিভিন্ন মহলে তাঁকে নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছিল। তারপর হঠাৎ শনিবার নিজের ফেসবুক পোস্টে সঙ্গীতশিল্পী তথা তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ লেখেন ,”ফোনে হোয়াটসঅ্যাপে স্বাভাবিকভাবেই আমি আক্রান্ত। এটাই হবার কথা। আমার যায় আসে না। যা করেছি তা, দরকার হলেই, আবার করব”।

সবমিলিয়ে টানা তিন ধরে এই বিতর্ক অব্যাহত। সাধারণ নেটিজেনদের পাশাপাশি এই বিতর্কে জড়িয়েছে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের নাম। জল গড়িয়েছে থানা-পুলিশেও! শাসক দল তৃণমূলের তরফে এই বিষয় নিয়ে কোনও বার্তা না দিলেও দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ শনিবার টুইটে লেখেন, ‘এর জন্য ক্ষমা চাওয়া উচিত, না চাইলে ব্যবস্থা হওয়া উচিত।’ রাজ্য বিজেপির পক্ষ থেকে শনিবারই মুচিপাড়া থানায় তার বিরুদ্ধে দায়ের হয় একটি অভিযোগ।

ঘটনাচক্রে, তার পরই কিন্তু রবিবারে একদম উল্টো সুরে  নিজের ফেসবুক পোস্টে ক্ষমা চেয়ে সেই বিতর্কের পুরোপুরি ইতি টানলেন শিল্পী সুমন।পোস্টে তিনি লিখেছেন," আমি সহ নাগরিকের কাছে, বিজেপি আরএসএস-এর কাছে এবং বাঙালিদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করছি।"

তবে ফেসবুক পেজে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইলেও জিইয়ে রাখলেন চলমান বিতর্ক!আর সঙ্গীতশিল্পীর পাল্টা যুক্তি, “যে চ্যানেল বা দল দীর্ঘকাল ধরে আমাদের দেশের মুসলমানদের আক্রমণ ও অপমান করে চলেছে সেই চ্যানেলের লোককে গালাগাল দেওয়ার অধিকার কি আমার নেই?” বস্তুত, রবিবার নিজের দ্বিতীয় পোস্টে কেন্দ্রের শাসকদলের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের একাধিক অভিযোগ তুলেছেন তিনি। বোঝানোর চেষ্টা করেছেন ক্ষমাপ্রার্থী হলেও বিজেপির মতো সংখ্যালঘু বিদ্বেষী দল এবং তাঁদের ‘সমর্থনকারী’ চ্যানেলকে গালাগাল করে কোনও গর্হিত অপরাধ তিনি করেননি। বিজেপির সংখ্যালঘু নিগ্রহের দৃষ্টান্ত হিসাবে তুলে এনেছেন, যোগী আদিত্যনাথের কবর থেকে তুলে সংখ্যালঘু মহিলাদের ধর্ষণ মন্তব্য। তুলে এনেছেন রাজস্থানে বাংলার সংখ্যালঘু যুবক আফরাজুলকে পুড়িয়ে মারার দৃষ্টান্ত। 

 সবশেষে অবশ্য তাঁর এক পোস্টের শেষাংশে গোটা বাংলাকে সাক্ষী রেখে শিল্পী কবীর সুমনের বার্তা,“আমার মাতৃসমা, গুরুস্থানীয়া সুরসম্রাজ্ঞী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে তাঁর নব্বই বছর বয়সে যে পদ্মশ্রী খেতাব ছুঁড়ে দেওয়া হল তা মানতে পারলাম না।”সবমিলিয়ে টানা তিন ধরে এই বিতর্ক অব্যাহত।  ফোনালাপ বিতর্কে  ক্ষমা প্রার্থনা করলেও ছুড়ে দিলেন শ্লেষ। জিইয়ে রাখলেন চলমান বিতর্ক!


Share on Google Plus Share on Whatsapp



0 comments:

Post a Comment