নাজমুল হাসান 29 জানুয়ারি: দীর্ঘমেয়াদী রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে কংগ্রেসের সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস! গোয়া,ত্রিপুরা থেকে মেঘালয় সব রাজ্যের কংগ্রেস ভাঙ্গিয়ে নিজেদের পায়ের তলার জমি শক্ত করছিল তৃণমূল কিন্তু গোয়ার নির্বাচনের ঘণ্টা বাজতেই ধীরে ধীরে সুর বদল করতে শুরু করেছে ঘাসফুল শিবির! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে সোনিয়া গান্ধীকে এদিন এসএমএস করেন এবং কংগ্রেসের কাছে জোটের বার্তা যায় তৃণমূলের তরফ থেকে! তবে কংগ্রেস আপাতত তৃণমূলের সঙ্গে যেতে প্রস্তুত নয় বলে এমনটাই খবর রাজনৈতিক সূত্রে! এই পরিস্থিতিতে এবার সংসদে কংগ্রেসের সঙ্গে পা মিলিয়ে বিজেপি বিরোধিতায় সবর হওয়র পথেই হাঁটতে চলেছে তৃণমূল!
গতকাল কলকাতায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতেই তৃণমূল সাংসদের দলীয় বৈঠকের পর,সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান সংসদের বিরোধী দলগুলির সঙ্গে মিলেই ফ্লোর কোঅর্ডিনেশন করবে তৃণমূল ! লোকসভায় দলের বাজেট অধিবেশনে যেরকম ইসু উত্থাপিত হবে তা নিয়েই কংগ্রেসের সঙ্গে কো-অর্ডিনেশন এ যাবেন তারা! এর আগে শীতকালীন অধিবেশনে রাজ্যসভা সাংসদদের সাসপেনশন ইস্যুতে একসঙ্গে ধর্নায় বসলেও তৃণমূল পরিষ্কার ভাবে বুঝিয়ে দিয়েছিল যে কংগ্রেসের নেতৃত্বে আন্দোলন ও কর্মসূচি পালনে বাধ্য নয় তারা! তৃণমূলের এই মনোভাবে বিরোধী ঐক্যে ভীষণভাবে একটা চের ধরার সম্ভাবনা দেখা গিয়েছিল! এমন কি বিভিন্ন রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছিল তৃণমূলের মনোভাব নিয়ে এবং সন্দেহ করা হচ্ছিল যে বিজেপির সঙ্গে তবে কি গোপন রাজনৈতিক বোঝাপড়ার মধ্যে আছে তৃণমূল?
কংগ্রেসের ডাকা বৈঠকে যাননি তৃণমূল সাংসদরা তাই পরের দিকে রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস সাংসদ মল্লিকার্জুন তৃণমূলকে বৈঠকে ডাকাই বন্ধ করে দিয়েছিলেন! তবে নয়া বছর নয় নীতি নিয়ে সংসদে পা রাখতে চলেছে তৃণমূল সাংসদরা! এখন দেখার বিষয় কো-অর্ডিনেশন এর নামে ঘাসফুল, কংগ্রেসের নেতৃত্ব আবার স্বীকার করে নেয় কিনা!
0 comments:
Post a Comment