জাতি সমীকরণে বাজিমাত বিজেপির,সঙ্ঘের পরামর্শেই নতুন মুখ

 



Delip Chattopadhya:মোদীর ব্যক্তিগত ইচ্ছায় নয়,বাস্তবে আরএসএসের পরামর্শ মেনেই আগামী ১০ বছরের রাজনীতির দিকে তাকিয়েই বিজেপি ৩ রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ পরিবর্তন এনেছে। ৫ রাজ্য বিধানসভার নির্বাচনে কোন মুখ্যমন্ত্রীর মুখ সামনে না রেখে লড়াই করেছে গেরুয়া শিবির। এর মধ্যে ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ,রাজস্থানে জয়ের পর পূর্বসুরিতে পরিবর্তন এনেছে মূলতঃ আরএসএসের থিংট্যাংকের পরামর্শ মেনে। প্রচার চলেছে মোদীর ইচ্ছাতেই এই পরিবর্তন। তাহলে ১৭ সালে উত্তরপ্রদেশে মোদীর প্রার্থী মনোজ সিংহকে সরিয়ে কি ভাবে যোগী আদিত্যনাথ সামনের সারিতে চলে এসে মুখ্যমন্ত্রী হলেন? বাস্তবে এখন সংঘের ইচ্ছা,পরামর্শকে মান্যতা দিয়েই চলতে হয় বিজেপিকে। রমন সিং,শিবরাজ সিং চৌহান ও বসুন্ধরা রাজের পরিবর্তে ছত্তিশগড়ে বিষ্ণুপদ রাইয়ের মত উপজাতি মুখ, মধ্যপ্রদেশে ডঃ মোহন যাদবের মত ওবিসি মুখ ও রাজস্থানে যেখানে ১২ শতাংশ হিন্দু ব্রাহ্মণ, যেখানে ব্রাহ্মণ চেহারা, দলের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক ভজনলাল শর্মার মত উচ্চবর্ণের হিন্দুকে মুখ্যমন্ত্রীএ পদে এনে জাতি সমীকরণে বাজিমাত করেছে বিজেপি। সবটাই হয়েছে সংঘের ইচ্ছা, পরামর্শ ও নির্দেশেই। কংগ্রেসের নেতৃত্বে ইন্ডিয়া জোটের জাতি গণনার দাবিকে সমুচিত জবাব দিতেই রাজ্যে রাজ্যে হিন্দু জাতি গোষ্ঠীগুলির ভারসাম্য রাখা নীতি নিয়েছে বিজেপি।

ছত্তিশগড়ে মুখ্যমন্ত্রী উপজাতি, উপ মুখ্যমন্ত্রী করা হয়েছে ব্রাহ্মন ও ওবিসি সমাজ থেকে। মধ্যপ্রদেশে ওবিসি মুখ্যমন্ত্রী। সমতা বজায় রাখতে তাই উপ মুখ্যমন্ত্রী করা হয়েছে দলিত ও উপজাতি। আবার রাজস্থানে মুখ্যমন্ত্রী ব্রাহ্মণ তো দুই উপ মুখ্যমন্ত্রী রাজপুত ও দলিত শ্রেণীর।

বিজেপির লক্ষ্য হিন্দুদের বিভিন্ন জাতি গোষ্ঠির সমর্থন আদায় করা। সেই লক্ষ্যে তিন রাজ্যে হিন্দু উচ্চবর্ণ,ওবিসি, দলিত ও উপজাতিদের মধ্যে একটা সমতা বজায় রাখা। এর মূল লক্ষ্য হল ২৪-এর নির্বাচনের আগে কংগ্রেস ও তাঁর ইন্ডিয়া জোট শরিকদের জাতি গণনার দাবি তুলে ফায়দা লোটার চেষ্টাকে ব্যর্থ করা।

Share on Google Plus Share on Whatsapp



0 comments:

Post a Comment