Indiapost24 Web Desk: কংগ্রেস বিরোধিতা, বিশেষকরে মোদী বিরোধী বিকল্প মুখ হিসাবে রাহুল গান্ধীর বিরোধিতা থেকে সরে আসছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিবিআই, ইডি,এন আই এ সহ কেন্দ্রীয় এজেন্সি গুলির অব্যাহত চাপে দিশেহারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবার কংগ্রেস ও গান্ধী পরিবারের শরণ নিলেন।সনিয়া গান্ধীকে লেখা মমতার গোপন চিঠি দলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ওব্রায়ান ১০ জনপদে সোনিয়া গান্ধীর সরকারি বাসভবনে তুলে দিয়েছেন। জাতীয় ও পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি নিয়ে ডেরেক ওব্রায়ান তৃণমূল কংগ্রেস ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মনোভাবও সোনিয়া গান্ধীর কাছে তুলে ধরেন।
মমতার বক্তব্য সংসদের বাইরে ও ভেতরে মোদী বিরোধী দলগুলি জোটবদ্ধ হয়ে সরকার বিরোধিতায় নামুন। যে রাজ্যে যারা শক্তিশালী তারাই মোদী, গেরুয়া শিবিরের মোকাবিলা করুন।
মমতা যে কংগ্রেসের সঙ্গে জাতীয়স্তরে বিজেপি বিরোধিতায় হাত মিলিয়ে চলার পক্ষপাতি তাও পরিস্কার করে দিয়েছেন ডেরেক ওব্রায়ান। পশ্চিমবঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব, বিশেষ করে অধীর চৌধুরি যে ভাবে তৃণমূলের বিরোধিতায় একদিকে সি পি এম, অন্যদিকে বিজেপির সঙ্গে বোঝাপড়া করে চলেছেন তা নিয়ে ক্ষোভ গোপন করেন নি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পশ্চিমবঙ্গে জাতীয় স্বার্থে তৃণমূল ও মমতা বিরোধিতা ও মোদী-মমতা সেটিং তত্বেও ক্ষুব্ধ মমতা।
মমতা বিরোধী বামপন্থীদের এই অপপ্রচারে যে অধীর চৌধুরিরা সায় দিয়ে চলেছেন তাও জানানো হয়েছে সনিয়া গান্ধিকে। রাজনৈতিক মহলে জল্পনা যে সাগরদিঘিতে বামশিবির ও বিজেপির একাংশের সমর্থনে কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন বিশ্বাসের জয়ের পর বাঙ্গালী মুসলিম ভোটের বড় অংশ সরে যাওয়ার তথ্য উঠে আসায় তৃণমূল শিবিরে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। পরে অবশ্য বাইরন দলত্যাগ করে তৃণমূলে যোগ দেন।
মমতার কৌশল হল পশ্চিমবঙ্গে সিপিএমের বাম শিবিরের সঙ্গে কংগ্রেসের রাজনৈতিক বোঝাপড়া ছিন্ন করা। লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসের বর্তমান দুই সাংসদের আসন ছেড়ে দেওয়ার পাশে রায়গঞ্জ, দার্জিলিং আসন কংগ্রেসকে ছাড়ার ভাবনা শুরু হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস শিবিরে। এদিকে পশ্চিমবংগে মুসলিম সংখ্যালঘু এলাকায় স্পর্শকাতর এলাকায় ধর্মীয় বিভাজন ও তৃণমূল-বিজেপি ররাজনৈতিক মেরুকরণের সম্ভাবনায় উদ্বেগেই বাম শিবির। কিছুটা প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বও। মমতা শিবিরের সাফ কথা বিজেপি-আরএসএস রাজ্যে জমি হারিয়ে সাম্প্রদায়িক সংঘাত বাড়াতে চাইছে। সংখ্যালঘু মুসলিমদের সামাজিক, রাজনৈতিক স্বার্থরক্ষায় যে মমতা প্রশাসন বদ্ধপরিকর সেই বার্তাও সনিয়া গান্ধীর কাছে পাঠানো হয়েছে।
0 comments:
Post a Comment