Indiapost24 Web Desk: হিন্দি বলয় পশ্চিম ভারতের মত পশ্চিমবঙ্গেও তীব্র রাম আবেগ তৈরির চেষ্টায় সক্রিয় বিজেপি ও তাঁদের চালিকাশক্তি আর এস এস। ইতিমধ্যে ২২ শে জানুয়ারী অযোধ্যায় রাম মন্দিরের উদ্বোধন ও রামলালার মূর্তির আনুষ্ঠানিক উদবোধনে পশ্চিমবঙ্গে ভীষণভাবে রাম আবেগ তৈরিতে সচেষ্ট হিন্দুত্ববাদী শিবির। শুধু বিজেপিই নয়,আরএসএস,বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, হিন্দু জাগরণ মঞ্চ, ভারতীয় মজদুর সঙ্ঘ বিদ্যার্থী পরিষদ,স্বদেশী জাগরণ মঞ্চ, সকলেই সক্রিয় ভাবে রাম আবেগ কে পশ্চিমবঙ্গে ভাসিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। রাম মন্দির,ভগবান শ্রী রামচন্দ্রের আবেগে রাজ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ বর্ণ হিন্দু,দলিত, উপজাতি,ওবিসিদের পাশে উদারমনা হিন্দুদের টেনে আনতে সক্রিয় কমলা শিবির। শুধু রামের প্রভাবে লোকসভা ভোটে যাতে বিজেপি ডিভিডেন্ট পায় তার চেষ্টা চলছে। পশ্চিমবঙ্গে বৈদ্যুতিন গণ মাধ্যম ও সংবাদপত্র গুলি সাধারণভার এখনো মমতার দল তৃণমূলের হয়ে প্রচারের পাশে বিজেপি আরএসএস নিয়ে নেতিবাচক প্রচার চালাচ্ছে। অন্যদিকে মমতা, কংগ্রেস, বাম ও অতিবামেরা হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির বিরুদ্ধে রাস্তায়। তবে রাম আবেগকে পুঁজি করে লোকসভা ভোট কেন্দ্রে ডিভিডেন্ট পেতে মরিয়া বিজেপি আরএসএস। রাম আবেগ, হিন্দুত্ব ও তৃণমূলের বিরোধিতায় পশ্চিমবঙ্গে প্রতিষ্ঠান বিরোধী ভোটের ৯০ শতাংশ বিজেপির দিকে চলে যেতে পারে বলে রাজনৈতিক মহলের অনুমান। আই প্যাক শতাংশের হিসেব না দিলেও তাঁরা মনে করে রাজ্যে প্রতিষ্ঠান বিরোধী ভোট কব্জা করার দিকে এগিয়ে পশ্চিমবঙ্গের গেরুয়া শিবির। এ নিয়ে মমতা শিবিরকে সতর্ক করে দিয়েছেন। আই প্যাকের অনুমান ইন্ডিয়া জোটের প্রধান শরিক কংগ্রেসের সঙ্গে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের জোট বাস্তবায়িত হলে পুরোপুরি সেফ জোনে থাকবে তৃণমূল। বিজেপির চলতি ১৬ টি লোকসভা আসন তাঁরা ধরে রাখতে পারবে
না। জোট না হলে পস্তাবে তৃণমূল কংগ্রেস। এদিকে রাজনৈতিক মহল মনে করছে
যে, পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি আরএসএস এর প্রত্যক্ষ সহায়তায় বিজেপি রাম আবেগ,
হিন্দুত্বের ভাবাদর্শ ও ধর্মীয় বিভাজন কে উস্কে দিতে চাইছে। বিজেপি - তৃণমূলের মেরুকরণের রাজনীতিতে ধাক্কা খাবে বাম শিবির। সিপিএমের অধিকাংশ প্রার্থীই ১৯ এর লোকসভা নির্বাচনের মত জমানত খোয়াবেন। কোন আসন জেতা, এবারেও অধরা থেকে যাবে। বামেদের থেকে কংগ্রেসের অবস্থা নড়বড়ে হলেও তাঁদের ক্ষতি তুলনামূলক ভাবে কম হবে।
0 comments:
Post a Comment