বামপন্থী আন্দোলনে তরুন নেতৃত্বের সংকট?

 


Indiapost24 Web Desk:কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে তৃণমূল ও বিজেপি বিজেপি বিরোধী তৃতীয় শক্তি গড়ার পাশে যৌথ আন্দোলনের রাস্তায় সিপিএম সহ বামপন্থী শিবির। পৃথক ভাবেও সিপিএম ও তাঁর বাম জোটের শরিকরা গণ আন্দোলনও গড়ে তুলতে আগ্রহী। নির্বাচনের ২ মাস আগে সীমিত ক্ষমতায় বাম শিবির নিজেদের সক্রিয় কাজে লিপ্ত। বামেরা রাজ্যে পালাবদল ও ক্ষমতা হারানোর ১২ বছর বাদে নিজেদের সুসংহত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। ২০১১, ২০১৬ ও ২০২৩-র বিধানসভা নির্বাচন ২০১৪ ও ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে ভয়াবহ রাজনৈতিক বিপর্যয় ও নির্বাচনে শোচনীয় পরাজনের পর সিপি এম নেতৃত্ব কার্যত ভেঙ্গে পড়েছিলেন। ৩৪ বছর পশ্চিমবঙ্গ শাসনের পর বিগত ১২ বছর একের পর নির্বাচনী বিপর্যয়ে হতাশা চাড়া দিয়েছিল বামপন্থী শিবির। লোকসভা নির্বাচনের আগে বিমান বসু সহ সেলিম, সুজন চক্রবর্তীরা কংগ্রেসের সঙ্গে জোট গড়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও নেতৃত্ব ও সংগঠনের অভাবে বাম শিবিরে ভোগান্তি বাড়ছে। পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বিজেপি বিরোধিতায় সরব প্রদেশ কংগ্রেস ও সি পি এমের নেতৃত্ব। বাম  শিবির ক্রমেই তৃণমূলের কাছাকাছি আসছে এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক মহল। ২০২৪ -এর লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে পশ্চিমবঙ্গে নতুন রাজনৈতিক সমীকরণের সম্ভাবনা নিয়ে একদিকে পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস, অন্যদিকে সি পি এমের নেতৃত্ব ক্রমেই কাছাকাছি আসতে চলেছে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহল। বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বও এমন সম্ভাবনা অস্বীকার করছেন না। জাতীয় অর্থনীতি ও চিনের সঙ্গে লাদাখে সামরিক সংঘাত নিয়ে এখন অনেকটাই ব্যাকফুটেই নরেন্দ্র মোদী। তাই নানা ইস্যুতে, বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের প্রতি কেন্দ্রের আর্থিক বঞ্চনাকে 

কেন্দ্র করে মোদী বিরোধিতায় সরব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর দল তৃণমূল কংগ্রেস এবং বর্তমান রাজ্য সরকার। মোদী বিরোধিতায় তৃণমূলের পাশে দাঁড়াতে বাম জোট ও কংগ্রেসের অভ্যন্তরে চাপ বাড়ছে। যদিও পশ্চিমবঙ্গে তীব্র প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার মাঝে শুধু মোদি বিরোধিতার রাজনীতি কতটা সফল হবে তা নিয়ে দ্বিমত রয়েছে রাজনৈতিক মহলে। বামপন্থীরা ঘুরে দাঁড়াতে কংগ্রেসের হাত ধরতে চলেছেন। পশ্চিমবঙ্গ বিজেরি নেতৃত্বের অনুমান যে, ২০২৪ এর দিল্লি দখলের লড়াই যত তীব্রতর হবে, ততই পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিক মেরুকরণ ক্রমেই জোরদার হয়ে উঠবে। ইতিমধ্যে কংগ্রেস ও বাম নেতারাও মনে করছেন যে ২০২৪ এর গেরুয়া শিবির দিল্লীর  সহায়তায় প্রবল বেগে রাজ্যে রাজনৈতিক যুদ্ধের পরিকল্পনা তৈরী করছে। বামপন্থী শিবির ও কংগ্রেসকে রাজনৈতিক ভাবে অপ্রাসঙ্গিত করে রাজনৈতিক ফায়দা লোটাই হল গেরুয়া শিবিরের রাজনৈতিক কৌশল। তাই বাম শিবিরও মরিয়া ঘুরে দাঁড়াতে। বামেরা মনে করছেন যে, পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি ক্ষমতায় এলে শুধু কমিউনিস্ট, বামপন্থীদের নয়, বিপদ বাড়বে বিজেপির বিরোধী ধর্মনিরপেক্ষ শিবিরের। তাই শাসক তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে রাজনৈতিক সহমতের ভিত্তিতেই বিজেপিকে আটকানোর ভাবনা চিন্তা শুরু হয়েছে বাম শিবিরেও। বিজেপিকে হারাতে ও কেরালার ধরনের মেরুকরণ গড়ে তোলার ভাবনা চিন্তা শুরু হয়েছে বাম ও কংগ্রেস শিবিরে।

Share on Google Plus Share on Whatsapp



0 comments:

Post a Comment