Indiapost24 Web Desk:প্রত্যাশা মতই বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের আর্জি সংসদে চার বছর আগে পাশ হওয়া নাগরিক সংশোধনী আইন ঠিক নির্বাচনের মুখে রাজনৈতিক অস্ত্র হিসাবে প্রয়োগ করলো মোদী সরকার। হিন্দু দলিতদের মধ্যে সাবেক পূর্ব পাকিস্থান, বর্তমান বাংলাদেশ থেকে ধর্মীয় উৎপীড়নের কারণে চলে আসা মতুয়াদের সমর্থন পাওয়ার প্রশ্নে যে বিজেপি অনেকটাই এগিয়ে গেল তা বলাই বাহুল্য।
পশ্চিমবঙ্গের বনগাঁ, রাণাঘাট, কৃষ্ণনগর, রায়গঞ্জ, কোচবিহার, বারাসাতের মত ৬টি লোকসভা কেন্দ্রে এর সরাসরি প্রভাব পড়বে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।
ইতিমধ্যে কেরালায় মার্কসবাদী সরকার, পশ্চিমবঙ্গের মমতা সরকার সি এ এ কার্যকর করবে না বলে ঘোষণা করায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক তাদের বিশেষ পোর্টালে আবেদন গ্রহণ করার কথা জানিয়ে দিয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গে মতুয়া অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে সিএএ লাগুর বিজয় উৎসব পালিত হচ্ছে। ঠিক লোকসভা নির্বাচনের মুখে সিএএ-অস্ত্রকেবাজি রেখে বিজেপি এবার পশ্চিমবঙ্গে ভাল ফলের আশায় দিন গুণছে।
অন্যদিকে কংগ্রেস, তৃণমূল, বাম ও অতি বাম শিবির, মুসলিম সংগঠন গুলির বিরোধিতায় সরব হয়েছে। তারা এর প্রছনে ধর্মীয় বিভাজন, সাম্প্রদায়িক মেরুকরণের অভিসন্ধি দেখছে।
এদিকে পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিক লাভের আশা দেখলেও গেরুয়া শিবিরে উত্তর পূর্ব নিয়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। উত্তর-পূর্বের উপজাতি অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে সি এ এ প্রয়োগ করা হবে না বলে কেন্দ্র জানালেও এ নিয়ে অসমে কংগ্রেস, এইউডিএফ,বাম শিবির, তৃণমূল কংগ্রেস,অখিল গগৈ এর কৃষক মুক্তি সমিতি ছাড়াও আসু, আমসু, অসম জাতীয়তাবাদী যুব সংগঠন এমন কি অসম গণ পরিষদ এর প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়ায় ঠিক নির্বাচনের মুখে হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বিপাকে পড়েছেন। অসমে নির্বাচনের ঠিক মুখে সি এ এ নিয়ে প্রতিবাদ আন্দোলনের সম্ভাবনায় সিদুরে মেঘ দেখছেন গেরুয়া শিবিরের নেতারা।
তবে পশ্চিমবঙ্গে সিএএ-কে অস্ত্র করে বিজেপি-আরএসএস রাজনৈতিক লাভের সম্ভাবনা দেখতে শুরু করেছেন। বিজেপির অভিযোগ মুসলিমদের ভীত করার চেষ্টা চালিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে চাইছেন। বঙ্গে কংগ্রেস, বাম শিবির সিএএ প্রয়োগের তীব্র বিরোধিতায় সরব হয়েছে।
0 comments:
Post a Comment