কুণাল অপসারনেও বিজেপি যোগের ইঙ্গিত?

 




Indiapost24 Web Desk:তৃণমূল কংগ্রসের বিতর্কিত সাধারণ সম্পাদক তথা দলের প্রধান মুখপাত্র কুণাল ঘোষকে নির্বাচন পর্বের মধ্যে দলীয় পদ থেকে অপসারণের ঘটনায় বঙ্গ রাজনীতিতে বেজায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই তৃণমূলের অন্দরে দলের ‘সেকেন্ড ইন কম্যান্ড’ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অতি ঘনিষ্ট এই বিতর্কিত তৃণমূল নেতার ভূমিকা নিয়ে প্রবীন নেতাদের মধ্যে ক্ষোভের বাতাবরণ তৈরি হচ্ছিল।

উত্তর কলকাতার দলীয় প্রার্থী তথা মমতা ঘনিষ্ট নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় কুণাল ঘোষকে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছেন তা বলাই বাহুল্য। কুণাল ঘোষ এবার লোকসভা নির্বাচনে দলীয় টিকিট না পেয়ে বেজায় ক্ষুব্ধ ছিলেন। এর পরিণতিতে তিনি দলের অন্দরে রাজনৈতিক নাশকতা চালাছিলেন বলে দলের অন্দরেই অভিযোগ ওঠে।

সারদা চিটগেট কান্ডে অভিযুক্ত হয়ে সাড়ে তিনবছর তাকে জেলে কাটাতে হয়। অভিযোগ যে দলের শীর্ষ নেতা-নেত্রীদের নির্দেশেই রাজ্য পুলিশের শীর্ষ কর্তা রাজীব  কুমার তাঁকে বিভিন্ন অভিযোগে গ্রেপ্তার করান। জেল থেকে কুণাল ঘোষ ত্ৎকালিন সি বি আই ডিরেক্টর, এমন কি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে দীর্ঘ ৩৬ পাতার যে বিস্ফোরক অভিযোগ সম্বলিত চিঠি পাটিয়েছিলেন তা মোদী সরকারের তুরুপের তাস  হয়ে রয়েছে। কুণাল-তৃণমূল সংঘাতে লোওসভা নির্বাচনের পর্বে রাজ্য বিজেপি নেতারা  তো বটেই মোদী-শাহরা নতুন রাজনৈতিক অস্ত্র খুঁজে পাচ্ছেন বলেই মনে করছেন  রাজনৈতিক মহল। 

কুণাল ঘোষের সিক্রেট মিশন বোঝার চেষ্টা চালাচ্ছেন গেরুয়া শিবিরের নেতা-নেত্রীরা। কিভাবে কুণাল ঘোষের সারদা অস্ত্র তৃণমূলের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা যায় তারও  সক্রিয়তা শুরু হয়েছে গেরুয়া শিবিরে।

সারদা, রোজভ্যালি সহ পশ্চিমবঙ্গে চিটগেট কান্ডে কয়েক হজার কোটি টাকার তছরূপ ও তাতে প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিক্ত তথা আমলাদের যোগ নিয়ে নতুন রাজনৈতিক বোমা ফাটতে পারে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহল। ইতিমধ্যে তৃণমূলের অন্দরে কুণাল ঘোষের সঙ্গে বিজেপির গোপন যোগাযোগ ও দলের অন্দরে নাশকতা চালানোর অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। মমতার মৌখিক নির্দেশে দলের রাজুসভার নেতা ডেরেক ও ব্রায়ান কুণাল ঘোষকে দলের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে অপসারণের সিদ্ধান্ত জানানোর পর রাজ্য রাজনীতিতে ব্যপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

Share on Google Plus Share on Whatsapp



0 comments:

Post a Comment