Indiapost24 Web Desk:পশ্চিমবঙ্গে সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনের পর রাজ্যে হিংসা-সন্ত্রাসের কারণে বিজেপির প্রায় ১০ হাজার কর্মী-সমর্থক ঘর ছাড়া। রাজ্যের একাধিক জেলায় বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের ওপর আক্রমণের পাশে দলের কার্যালয় ভাংগচুর-অগ্নিসংযোগের অভিযোগ তুলেছেন বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব।
রাজ্যের বিজেপি নেতৃত্বের আর্জি মেনে দলের জাতীয় নেতৃত্ব পশ্চিমবঙ্গে চার সাংসদের কেন্দ্রীয় তথ্য অনুসন্ধানি দল পাঠান। তিন দিন ধরে কলকাতা, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, কোচবিহার সহ হিংসা-সন্ত্রাসদীর্ণ এলাকায় যান ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় বিজেপি টিম।
আবার বিজেপির জাতীয় নেতৃত্ব ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা পশ্চিম ত্রিপুরার সাংসদ বিপ্লব দেবের নেতৃত্বে টিম পাঠানোয় সমালোচনায় সরব হন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তৃণমূলের মতই সমালোচনায় সরব হয়েছেন সি পি এমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্ত্তী, শমিক লাহিড়ীরা।
কুণাল ঘোষের অভিযোগ পশ্চিমবঙ্গে সব ঠিক ঠাক আছে। নির্বাচনে হারের পর পর পশ্চিমবঙ্গে নাটকবাজিতে নেমেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। কুণাল ঘোষের অভিযোগ বিপ্লব দেব ২০১৮ সালে ত্রিপুরায় বিজেপি জেতার পর মুখ্যমন্ত্রী হয়ে বিরোধী নেতাক-কর্মীদের ওপর আক্রমণ চালিয়েছিলেন তাঁর জবাব দিন। ত্রিপুরায় বিরোধীদের কত পার্টি অফিসে আগুন-ভাংগচুর ও দখলের ঘটনা ঘটেছে তাঁর জবাব দিন।
তৃণমূল কংগ্রেসের দৈনিক মুখপাত্র ‘জাগো বাংলা’য় বিজেপির কেন্দ্রীয় টিমের সন্দেহজনক সফর ও বিপ্লব দেবের মত ত্রিপুরায় হিংসা-সন্ত্রাসের নায়ককে সামনে আনাতেই বিজেপির রাজনৈতিক অভিসন্ধির প্রমাণ মিলেছে।
সি পি এমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্ত্তীও বিপ্লব দেবের নেতৃত্বে বিজেপির কেন্দ্রীয় টিমের পশ্চিমবঙ্গ সফর নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তবে পশ্চিম্বংগ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা বহরমপুরের পরাজিত সাংসদ অধীর চৌধুরী তাতপর্যপুর্ণ ভাবে বিপ্লব দেবের প্রসঙ্গে কোন মন্তব্য করতে হাজি হন নি।
অন্যদিকে, বিপ্লন দেব কলকাতায় তৃণমূল কংগ্রেস ও সি পি এম নেতৃত্বকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলেছেন যে ২০১৮ সালে ত্রিপুরায় বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর একটিও রাজনৈতিক হত্যা হয়েছে তাঁর অভিযোগ তুলে প্রমাণ দিতে পারলে তিনি রাজনীতি থেকে অবসর নেবেন। যদি হিংসা-সন্ত্রাস-রিগিং নিয়ে তৃণমূল ও সি পি এমের অভিযোগকে তিনি এড়িয়ে যান।
0 comments:
Post a Comment