Indiapost24 Web Desk:প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরী আনুষ্ঠানিকভাবে পশ্চিমবঙ্গ কংগ্রেসের সভাপতির পদ থেকে সরে যেতে বাধ্য হয়েছেন। তার সঙ্গেই কংগ্রেস ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখে রাজ্যে তার সাংগঠনিক পুনর্গঠন প্রক্রিয়া শুরু করেছে। সর্বভারতীয় কংগ্রেস কমিটি সূত্রে খবর, একটি নতুন সাংগঠনিক কাঠামো প্রতিষ্ঠা করতে, নির্বাচনকে মাথায় রেখে একটি রোডম্যাপ তৈরি করতে এবং সম্ভবত তৃণমূল কংগ্রেস এর সঙ্গে দলের অবস্থানের পুনর্মূল্যায়ন করতে চাইছেন কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব।
সোমবার, পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেসের ২১ জন নেতা নয়াদিল্লিতে এআইসিসি সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) কেসি ভেনুগোপালের সাথে দেখা করেছেন। রাজ্যের প্রবীণ কংগ্রেস নেতারা যেমন অধীর চৌধুরী, প্রদীপ ভট্টাচার্য, দীপা দাশমুন্সি, অমিতাভ চক্রবর্তী এবং রাজ্যে দলের একমাত্র লোকসভা সাংসদ ঈশা খান চৌধুরী এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। অধীর চৌধুরীর বদলে কাকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি করা হবে, তা স্থির করার দায়িত্ব হাইকমান্ডের ওপরই ছেড়ে দিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব। তাঁরা বৈঠকে তৃণমূলস্তরে সংগঠন পুনরুজ্জীবিত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন। এআইসিসি নেতৃত্বকে রাজ্যে ব্লকস্তর থেকে নতুন কমিটি গঠন করার এবং নতুন মুখদের সেই সব কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন।
অধীর চৌধুরী এখন রাজ্য রাজনীতিতে ছবির বাইরে। সূত্র জানিয়েছে যে এআইসিসি টিএমসি সম্পর্কে কংগ্রেসের অবস্থান পুনর্বিবেচনা করবে। অধীরের আমলে, প্রদেশ কংগ্রেস মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন টিএমসির বিরোধিতায় অটল ছিল। যদিও জাতীয়স্তরে দুটি দল বিরোধী ভারত জোটের অংশ।
তবে এটাও ভাবার বিষয় যে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদে অধীর চৌধুরীর উত্তরসূরি খুঁজে পাওয়া কংগ্রেস হাইকমান্ডের কাছে একটা বড় চ্যালেঞ্জ। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক প্রবীণ কংগ্রেস নেতা বলেছেন, ‘অধীর চৌধুরী ছাড়া প্রদেশ সভাপতি হওয়ার যোগ্য ব্যক্তি কংগ্রেসে নেই। তৃণমূল এবং বিজেপির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর মত কংগ্রেসে তিনিই শেষ ব্যক্তি। তিনি জাতীয় নেতৃত্বের মতানৈক্য সত্ত্বেও লড়াই চালিয়েছেন। কিন্তু, তার তৃণমূল বিরোধী অবস্থান থেকে সরে আসেননি। আমি জানি না এআইসিসি তাঁর স্থলাভিষিক্ত করার জন্য উপযুক্ত ব্যক্তি খুঁজে পাবে কি না।
বৈঠকে যা হয়েছে
0 comments:
Post a Comment