মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে রাজ্যের বিভিন্ন ঐতিহাসিক নিদর্শন সংস্কার ও সংরক্ষণ

 



Joytiprakash Mukherjee,Indiapost24 Web Desk:

আধ্যাত্মিক দেশ ভারতের সভ্যতা হলো বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন সভ্যতা। অগাধ  সম্পত্তির জন্য এইদেশ বারবার বিদেশীদের আক্রমণের লক্ষ্য হয়ে উঠেছে। কেউ সম্পদ লুঠ করে চলে গেছে, কেউ থেকে থেকে গিয়ে  নিজেদের দেশের সভ্যতার মিশ্রণে নতুন নতুন স্থাপত্য ভাস্কর্যের জন্ম দিয়েছে। মন্দির,মসজিদ,গীর্জা সহ বিভিন্ন ধর্মক্ষেত্র তার নিদর্শন বহন করে চলেছে। ওদিকে দীর্ঘদিন ধরে রাজ্যের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ 'ক্ষ্যাপা খুঁজে ফিরি পরশ পাথর'-এর মত এইসব নিদর্শন খুঁজে বেড়াচ্ছে। 


রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ গ্রহণের পর থেকেই বিভিন্ন ক্ষেত্রে অভিনবত্বের পরিচয় দিয়ে চলেছেন মমতা ব্যানার্জ্জী। তার অধিকাংশ  নিজ মস্তিষ্কপ্রসূত ভাবনা-পরিকল্পনা ও জনকল্যাণমূলক বিভিন্ন প্রকল্প দেশ-বিদেশে প্রশংসিত, পুরস্কৃত। ইতিহাসের ছাত্রী হিসাবে তিনি এই রাজ্যের ঐতিহাসিক গুরুত্ব সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। তিনি বিশ্বাস করেন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে লুকিয়ে আছে অসংখ্য ঐতিহাসিক নিদর্শন। এগুলি ইতিহাসের ছাত্রছাত্রীদের কাছে যেমন গুরুত্বপূর্ণ,তেমনি ভ্রমণপিপাসু মানুষের কাছে আকর্ষণীয় হতে পারে পাশাপাশি বাংলার পুরনো ঐতিহ্যকে আধুনিকতার ছোঁয়া দিয়ে নতুন করে আরো আকর্ষণীয় করে তোলা যেতেই পারে।গড়ে উঠতে পারে পর্যটনকেন্দ্র। এতে সরকারের যেমন আয় বাড়বে তেমনি কর্মসংস্থান হবে। 


মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণায় সক্রিয় হয়ে উঠেছে পশ্চিমবঙ্গের প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগ। জরিপ বিভাগ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ঐতিহাসিক স্থান জরিপ ও অন্বেষণ করতে শুরু করছে। আবিষ্কৃত স্থানগুলো সাধারণ মানুষের কাছে আকর্ষণীয় করে তোলার  জন্য সেগুলিকে সুন্দরভাবে সাজিয়ে তুলেছে। নিঃসন্দেহে এটি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ ও অত্যন্ত প্রশংসনীয় পদক্ষেপ।


 ইতিমধ্যে তারকেশ্বর থেকে বাঁকুড়ার গন্ধেশ্বর নদী উপত্যকায় খনন কার্য সম্পন্ন হয়েছে।এছাড়াও,নির্ভরযোগ্য সরকারি সূত্রে জানা গেছে, সংস্কার ও পুনরুদ্ধারের জন্য গৃহীত ৩ টি অসামান্য প্রকল্পের মাধ্যমে বাগবীরায় ৩ টি মন্দির ও বেগুন কোদোলের রাশ মঞ্চের দ্রুত গতিতে সংস্কারের কাজ চলছে।ডুয়েলঘাটে প্রাক ঐতিহাসিক যুগের ৩ টি মন্দিরের সংস্কার এবং মালদায়   যোগজীবনপুরে মধ্যযুগীয় ঐতিহাসিক নিদর্শন 'হামাম' পুনরুদ্ধারের কাজ আগামী বছরের মধ্যে শেষ হতে চলেছে বলেই নবান্ন সূত্রে খবর। বনদপ্তর ও পিডব্লিউডি বিভাগের সহায়তায় রাজ্য প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগের অধীনে রাজ্যের সমস্ত মিউজিয়ামের জন্য বিশেষ যত্ন নেওয়া, পুনঃস্থাপন,জরিপ,পুনরুদ্ধার ও সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। সবার আশা এগুলি তরুণ প্রজন্মকে বাংলার ঐতিহাসিক পটভূমি এবং শিল্প ও সংস্কৃতির পাশাপাশি মধ্যযুগীয় ঐতিহাসিক স্থাপত্য-ভাস্কর্যের প্রতি উৎসাহী করে তুলবে।


প্রসঙ্গত ২০১৭ সাল থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জ্জীর নির্দেশে রাজ্য সরকার ১৮ ই মে দিনটি 'মিউজিয়াম ডে' হিসাবে পালন করা শুরু করছে। বাংলার সাধারণ মানুষ তথা ইতিহাসপ্রেমীরা সরকারের এই  উদ্যোগকে সাধুবাদ জানায়৷

Share on Google Plus Share on Whatsapp



0 comments:

Post a Comment