১৯৮২ সালে অস্ট্রেলিয়ার মেলবর্ন শহরে দুই হাত ও দুই পা বিহীন জন্ম নেওয়া শিশুটির নাম ছিলো নিকোলাস ভুজিসিক । যেই মা তাকে ১০ মাস গর্ভে রেখেছিলো জন্মের পর এমন শারীরীক অবস্থা দেখে সেই মাও তাকে বাড়িতে নিতে অস্বীকার করে, তবে পরক্ষনে তার বাবার অনুরোধে তাকে নিয়ে যেতে রাজি হন তার মা । আস্তে আস্তে বেড়ে ওঠে ভুজিসিক, কিন্তু তার এই শারীরীক প্রতিবন্ধকতার জন্য চারোপাশের মানুষের কাছে অনেকটাই উপহাসের বিষয় ছিলেন তিনি । কিন্তু তার বাবা তাকে বলতেন - "তুমি বিধাতার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য উপহার, শুধুমাত্র একটু ভিন্ন মোড়কে "। তুমি হতাশ হয়ো না ভুজিসিক । ওই যে শুরু হলো তার পথচলা আর থামতে হয়নি তাকে । নিজের উপর পূর্ন বিশ্বাস নিয়ে এগিয়ে চললেন তিনি । তিনি স্নাতক করেছেন দুইটি বিষয়ের উপর "অ্যাকাউন্টিং" এবং "ফাইন্যান্সিয়াল প্লানিং" যা হয়তো আমাদের মতো সাধারন সয়ং সম্পন্ন মানুষের পক্ষেও সহজ নয় ।
বর্তমানে তিনি সারা বিশ্বে পরিচিত মোটিভেশনাল স্পিকার হিসেবে । তার বক্তৃতা শুনে হাজার হাজার মানুষ নিজেকে মোটিভেট করছে । তবে তিনি সবসময় ভাবতেন হয়তো তিনি কখনো বিয়ে করতে পারবেন না, কারন তার এই অঙ্গহীনতার জন্য হয়তো কোন নারী তাকে পছন্দ করবে না, বিয়ে করবে না ।কিন্তু তার সেই ধারনা ২০০৮ সালে ভুল প্রমান করে দিয়েছিলো এক রমনী । জাপানী বংশউদ্ভুত আমেরিকান ওই নারীর নাম ছিলো "ক্যানা মিহারা"। ক্যানা বলেন, "আমি যখন ওকে প্রথম দেখলাম তখন আমার মনে হয়েছিলো আমি যা চাই ওর ভিতরে তার সবই আছে । তারপর আমাদের চেনা জানা শুরু হয় এবং আমরা দুজন দুজনকে পছন্দ করে বিয়ে করি"। একবার সাংবাদিকরা ক্যানা কে জিজ্ঞাসা করেছিলো - যদি আপনার সন্তানও ভুজিসিক এর মতো হয় তবে.....উত্তরে তিনি বলেছিলেন- "তাহলে আমিও আরেকটা ভুজিসিক এর জন্ম দেবো"
এই পৃথিবীতে আমরা অনেকেই হয়তো পাওয়া না পাওয়ার অনেক হিসাব করি । আমরা ভাবি আমরা এটা পাইনি, ওটা পাইনি, এমনকি এর জন্য সৃষ্টিকর্তা কে দোষারোপ করতেও বিন্দুমাত্র দেরি হয় না আমাদের । সত্যি বলতে সেই হিসেবে কিন্তু এই ভুজিসিক অনেক কিছুই পায় নি, কিন্তু তারপরেও সে থেমে নেই, নেই কোন আফসোস । হয়তো না পাওয়ারবেদনা তাকে কখন স্পর্শও করতে পারেনি । আর এই যে ক্যানা মিহিরা.... ওকে আমরা কিভাবে চিন্তা করবো.... কিভাবে দেখবো ওদের সম্পর্কটা কে..? এমন একটা মানুষের কাছে নির্দিধায় কত সুখে সংসার করে যাচ্ছে সে । এই মেয়েটাও হয়তো কখনও ভাবেনা যে সে কি পেলোনা... বরং সে কি পাচ্ছে সেটাই হয়তো তার কাছে মুখ্য বিষয় ।
আসলে সৃষ্টিকর্তা সবাইকে সব কিছু দেয় না । কিন্তু তাই বলে আমরা যদি আমাদের না পাওয়া জিনিস গুলো নিয়ে সবসময় আফসোস করি, দুশ্চিন্তা করি তবে দেখবেন জীবনটা বড় বিষাদময় হয়ে উঠবে এবং এর ফলে আপনি আপনার জীবনকে কখনোই উপভোগ করতে পারবেন না । না পাওয়ার শূন্যতা সবসময় আপনাকে তাড়িয়ে বেড়াবে । তবে একটু দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন করলেই আমাদের যা আছে সেটা নিয়েই সুন্দরভাবে বেচে থাকতে পারি এই পৃথিবীতে ।
(সুমন্ত দাস কর্তৃক সংগৃহীত)
এই পৃথিবীতে আমরা অনেকেই হয়তো পাওয়া না পাওয়ার অনেক হিসাব করি । আমরা ভাবি আমরা এটা পাইনি, ওটা পাইনি, এমনকি এর জন্য সৃষ্টিকর্তা কে দোষারোপ করতেও বিন্দুমাত্র দেরি হয় না আমাদের । সত্যি বলতে সেই হিসেবে কিন্তু এই ভুজিসিক অনেক কিছুই পায় নি, কিন্তু তারপরেও সে থেমে নেই, নেই কোন আফসোস । হয়তো না পাওয়ারবেদনা তাকে কখন স্পর্শও করতে পারেনি । আর এই যে ক্যানা মিহিরা.... ওকে আমরা কিভাবে চিন্তা করবো.... কিভাবে দেখবো ওদের সম্পর্কটা কে..? এমন একটা মানুষের কাছে নির্দিধায় কত সুখে সংসার করে যাচ্ছে সে । এই মেয়েটাও হয়তো কখনও ভাবেনা যে সে কি পেলোনা... বরং সে কি পাচ্ছে সেটাই হয়তো তার কাছে মুখ্য বিষয় ।
আসলে সৃষ্টিকর্তা সবাইকে সব কিছু দেয় না । কিন্তু তাই বলে আমরা যদি আমাদের না পাওয়া জিনিস গুলো নিয়ে সবসময় আফসোস করি, দুশ্চিন্তা করি তবে দেখবেন জীবনটা বড় বিষাদময় হয়ে উঠবে এবং এর ফলে আপনি আপনার জীবনকে কখনোই উপভোগ করতে পারবেন না । না পাওয়ার শূন্যতা সবসময় আপনাকে তাড়িয়ে বেড়াবে । তবে একটু দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন করলেই আমাদের যা আছে সেটা নিয়েই সুন্দরভাবে বেচে থাকতে পারি এই পৃথিবীতে ।
(সুমন্ত দাস কর্তৃক সংগৃহীত)
0 comments:
Post a Comment