Mojaffar Ahamed:গাড়ি থেকে নামিয়ে চালককে মারধর করে লোহার পাত বোঝাই ট্রেলার হাইজ্যাক করে পালানোর চেষ্টা করে দুস্কৃতিরা। পুলিশের তাড়ায় দুস্কৃতিরা রাস্তায় হাইজ্যাক করা লোহার পাত বোঝাই ট্রেলারটিকে থামিয়ে চম্পট দেয় ।দুস্কৃতিদের মারে মৃত্যু হয় ট্রেলারের চালক পিন্টু যাদবের।সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটে বর্ধমানের ২ নম্বর জাতীয় সড়কের মশাগ্রামের কাছে। দশ দিন আগে হাওড়ার শালিমার থেকে লোহার পাত কেনার জন্য দুর্গাপুরের একটি বেসরকারী কারখানায় ট্রেলারেটিকে নিয়ে যাওয়া হয়। সোমবার ট্রেলারে লোহার পাত বোঝাই করা হয়। দুপুরে তিন যুবক কারখানায় বাবলু নামে এক চালকের খোঁজে যায়। ওখানেই ট্রেলারের চালক পিন্টু যাদবের সঙ্গে আলাপ হয়। পিন্টু তিন যুবককে জানায় শালিমারে গেলে বাবলুকে পাওয়া যাবে।
এরপর তিন যুবক পিন্টুকে বলে তার গাড়িতেই তারা শালিমার যাবে। সন্ধ্যায় দুর্গাপুর থেকে গাড়ি ছাড়লে কথামত তিন যুবকও ট্রেলারে উঠে পড়ে। এরপর মশাগ্রামে গাড়ি থামিয়ে তিন যুবকের মধ্যে এক জন হোটেলে খেতে যায়। সঙ্গে যায় খালাসী বিশ্বকর্মা যাদব। সম্পর্কে পিন্টুর ভাই। ট্রেলারে থাকে চালক পিন্টু ও দুই দুষ্কৃতী যুবক। হোটেল থেকে ফিরে গিয়ে গাড়িতে চেপে বিশ্বকর্মা দেখে দাদা নেই। দেখতে না পেয়ে বিশ্বকর্মা চলন্ত ট্রেলার থেকে ঝাঁপ দেয় ও চিৎকার শুরু করে। আর রাস্তার ধারে ড্রেনে পড়ে থাকতে দেখে দাদাকে। ততক্ষণে তার চিৎকারে স্থানীয় বাসিন্দারা ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়। পুলিশ ধাওয়া করলে বেগতিক বুঝে দুস্কৃতিরা হাইজ্যাক করা ট্রেলারটিকে আঝাপুর থেকে মেমারী রাস্তা দিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু বিশাল ওজনের ট্রেলারটি ছোট রাস্তা দিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয় দেখে দুস্কৃতিরা গাড়ি থেকে নেমে চম্পট দেয়। পুলিশ গুরুতম জখম চালক পিন্টু যাদবকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে জানান।পুলিশ দুষ্কৃতী দের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে.
0 comments:
Post a Comment