স্নেহাশিস মুখার্জি , নদীয়া , 21 ফেব্রুয়ারি :
কাশ্মীরের পুলওয়ামায় কাপুরুষোচিত জঙ্গী হামলায় ৪৪ জন শহীদ জওয়ানের পরিবারের পাশে দাঁড়ালো নদীয়া জেলার অখিল ভারতীয় প্রতিবন্ধী কল্যাণ সমিতি।প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে এগিয়ে যাওয়াই এঁদের মূল লক্ষ্য।যদিও আর পাঁচটা মত এঁদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা নয় কিন্তু তবু এরা নিজেদেরকে প্রতিবন্ধী ভাবেন না। এঁদের কেউ মূক , বধির , কেউ শারিরীক প্রতিবন্ধী , কেউ জন্মান্ধ।এঁরা সকলেই অখিল ভারতীয় প্রতিবন্ধী কল্যাণ সমিতির সদস্য।
এঁরা কেউ পরিবেশ বান্ধব ব্যাগ , কেউ ডালের বড়ি , কেউ বা মাশরুম চাষের সঙ্গে যুক্ত।এই প্রতিবন্ধী সংগঠণের মাধ্যমেই দোকানে দোকানে চাহিদামতো এগুলো বিক্রি করা হয়।এঁরা প্রতিবন্ধী , কিন্তু এঁরাও মানুষ।এঁরাও অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে জানে।কেউ কেউ মুখে প্রকাশ করতে না পারলেও আকারে ঈঙ্গিতে প্রকাশ করে।
তাইতো সেদিন পুলওয়ামায় জঙ্গী হামলায় সারা ভারতবর্ষের সঙ্গে এঁরাও গর্জে উঠেছিল।খবর শোনার পরেই রীতিমত স্ক্র্যাচ ছেড়ে লাফিয়ে উঠেছিল সুজন দত্ত।তারপরই তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন ,"ভগবান কেন আমাকে প্রতিবন্ধী করল ? কেন সৈনিক করল না ? আজকে না হলে পাকিস্থানকে সমুচিত শিক্ষা দিতাম।ভারতের হয়ে একজন সেনাতো বাড়তো। না হয় শহীদ ই হতাম কিন্তু দশজন গাদ্দারকে মেরেই মরতাম "।
প্রতিবন্ধী শুভাশীষ ভট্টাচার্য বলেন ," আমরা প্রতিবন্ধী পরে , সর্বপ্রথমে আমরা ভারতবর্ষের নাগরিক।আজ ভারতীয় সেনারা আছে বলেই আমরা রাত্রে নির্বিঘ্নে শুয়ে আছি। আমরা আমাদের সৈনিকদের নিয়ে গর্বিত। ভারতবর্ষের প্রতিটা রাজ্যের প্রতিটা বাড়ী থেকে একজন করে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়া উচিত।আমরা গর্বিত যে আমরা শহীদ পরিবারের পাশে দাঁড়াতে পেরেছি।
প্রতিবন্ধী রুমকি বসাক , প্রিয়া কর বলেন ,কাশ্মীরের ঘটনা জানার পরেই আমরা জওয়ানদের পরিবারের পাশে দাঁড়াবার কথা ভেবেছিলাম।আমরা খুশী মানুষ হিসাবে মানুষের পাশে দাঁড়াতে পেরে।
সোমবার রাতেই অখিল ভারতীয় কল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে সিআরপিএফ ওয়াইভস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের তহবিলে অনলাইনে ১১৭০ টাকা পাঠান হয়।সংগঠণের সম্পাদক মলয় দে জানান , মোমবাতি মিছিল করলেও মোমবাতির খরচ পরবে , কিন্তু প্রকৃত অর্থে শহীদ পরিবারদের পাশে দাঁড়ানো যাবে না , সেই কারণেই আমাদের এই সিদ্ধান্ত।
0 comments:
Post a Comment