স্বার্থপরতার যুগে বঙ্গ সন্তান সমাজসেবী ডঃ সহিদুল হক কে কুর্নিশ


Indiapost24 Web Desk:পরিবেশ রক্ষায় এবং সমাজ সেবায় নজির সৃষ্টি করে এবছর Dr APJ Abdul Kalam Bharat Ratna award  এ মনোনীত হয়েছেন অজপাড়াগাঁ থেকে উঠে আসা পরিবেশ বিদ এবং সমাজ সেবী তথা M&B Seva foundation এর ডাইরেক্টর ডঃ সহিদুল হক মন্ডল। তিনি ভারতবর্ষের বিভিন্ন রাজ্যে ইতিমধ্যে ৩৩ লক্ষ ফলের গাছ লাগিয়ে ইতিমধ্যে বিশ্ব রেকর্ড করেফেলেছেন।এক কোটি ফলের গাছ বসানোর লক্ষ মাত্রা নিয়েছেন ডঃ সহিদুল হক। ভারতের প্রতিবেশী বাংলাদেশে ২০২৫ সালে নদীভাঙন রোধে পাঁচ কোটি গাছ বসানোর দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি। 

ইতিমধ্যে ডঃ সহিদুল হক বাংলার গৌরব, রাষ্ট্রীয় গৌরব এবং আমেরিকা ও ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের পক্ষ থেকে USA রেকর্ড বুকের পক্ষ থেকে সম্মান প্রাপ্ত হয়েছেন। রাষ্ট্রপুঞ্জের আন্ডারে তিন টি রেকর্ড বুকের অন্যতম রেকর্ড বুক " ম্যাজিক বুক অফ রেকর্ডস" এর পক্ষ থেকে সম্মান প্রাপ্ত হয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যে ডক্টরেট উপাধি লাভ করে ভারতবর্ষের প্রথম শ্রেণীর স্ব স্ব ক্ষেত্রে বিখ্যাত মানুষ দের সঙ্গে স্থান পেয়েছেন ডঃ সহিদুল হক।

অভাব কষ্টে দারিদ্র তার সঙ্গে লড়াই করে বড় হওয়া ডঃ সহিদুল হক মন্ডল এর আগামী দিনে লক্ষ্য হলো ভারতের এককোটি ফলের গাছের পাশাপাশি বাংলাদেশে পাঁচ কোটি গাছ বসানো। পাশাপাশি গরিব মানুষের চিকিৎসার জন্য মেডিকেল কলেজ তৈরী করার জন্য তিনি সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেন, সহযোগিতা চেয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ও। তিনি M&B Seva foundation NGO এর ডাইরেক্টর।

ডঃ সহিদুল হক মন্ডল ১৯৮১সালের ৭ই জুলাই পশ্চিম বঙ্গের উত্তর ২৪পরগনা জেলার কলসুর গ্রামে এক স্বাধীনতা সংগ্রামী কৃষক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর ঠাকুর দা সাফের আলি মন্ডল স্বাধীনতা সংগ্রামী ছিলেন। ইংরেজ সরকারের আমলে তিনি জেল খেটেছেন একাধিক বার।ভারত ছাড়ো আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন ডঃ সহিদুল হক এর ঠাকুর দা ছাফের আলি সাহেব।এই সাফের আলি মন্ডল এর ছেলে জলিল মন্ডল এর প্রথম সন্তান ডঃ সহিদুল হক মন্ডল।৩ বছর বয়সে কলসুর গ্রামে রাজনৈতিক অশান্তির জন্য ছেলে কে রাজনৈতিক হিংসার থেকে বাঁচতে মামার বাড়ি অশোক নগর এর গিলাপোল গ্রামে রেখে আসেন তাঁর মা বাবা। ঘটনা চক্রে মামার বাড়ি রাজনৈতিক পরিবার হওয়ায় ছোট্ট বয়স থেকেই সহিদুল হক মন্ডল রাজনীতি তে জড়িয়ে পড়ে। ছাত্র যুব আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন তিনি। ডঃ সহিদুল হক মন্ডল তিনি বাংলা, এবং পরিবেশ বিজ্ঞান এর উপর মাষ্টার ডিগ্রী করেন, তিনি লাইব্রেরী সায়েন্স এর উপর ও মাষটার ডিগ্রী করেন। তিনি বর্তমানে আইন বিষয়ে পড়াশোনা করছেন। ডঃ সহিদুল হক মন্ডল ফায়ার সার্ভিসে বর্তমানে কর্মরত। তিনি বেতনের ৮০% টাকা সমাজ সেবার জন্য ব্যায় করেন। তাঁর পরিবারের একাধিক ব্যবসা আছে। পরিবারের প্রতি তাঁর যেমন দায়বদ্ধতা আছে, ঠিক তেমনি পরিবারের সদস্যরা ও তাকে এই সমাজ সেবার জন্য সহযোগিতা করেন।১৯৯৭ সালে ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগর মহাশয় এর অনুপ্রেরণায় গরিব দুঃখী ছাত্র ছাত্রীদের সহযোগিতা করার জন্য বন্ধু দের নিয়ে গড়ে তোলেন ভিখারী ইউনিয়ন। সেখানে ৫০জন বন্ধু প্রতিদিন ১টাকা করে জমা দিয়ে বছরের সমস্ত টাকা গরিব দুঃখী ছাত্র ছাত্রীদের জন্য ব্যায় করতেন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সমস্ত বন্ধু সংসার জীবনে জড়িয়ে পড়ে এই ভিখারী ইউনিয়ন ছেড়ে বেরিয়ে যায়। কিন্তু পারিবারিক সমাজ সেবার নেশা তার পিছু ছাড়ে নি। তিনি কখনও ব্যবসা করে তার রোজগারের টাকা বিলিয়ে দিয়েছেন সমাজের জন্য,গরিব মানুষের জন্য।করনা কালীন পরিস্থিতি তে ডঃ সহিদুল হক মন্ডল নিজের জমি বিক্রি করে অসহায় গরীব মানুষের মধ্যে চিকিৎসা, বস্ত্র,চাল ডাল, মুদিখানার জিনিস পত্র বিতরণ করেন কমপক্ষে বারো হাজার মানুষের মধ্যে। তিনি কেবলমাত্র এলাকায় নয় তাঁর সমাজ সেবার কাজ সারা ভারত বর্ষের মধ্যে ছড়িয়ে। তিনি শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিবেশ এর উপর কাজ করে চলেছেন নিঃশব্দে। তিনি গঠন করেন M&B Seva foundation নামে একটি NGO সংস্থা।এই সংস্থার মাধ্যমে তিনি ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে এই মুহূর্তে ৩৩লক্ষ ফলের গাছ বসিয়ে ছেন। আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে ১কোটি গাছ বসানোর লক্ষ মাত্রা নিয়েছেন ভারত বর্ষে। ইতিমধ্যে প্রতিবেশী বাংলাদেশে নদী ভাঙন রোধের জন্য ৫কোটি গাছ বসানোর জন্য কাজ শুরু করে দিয়েছেন ডঃ সহিদুল হক। সম্প্রতি তিনি ঢাকায় গিয়ে মিটিং করে এসেছেন এই ব্যপারে। নদী ভাঙ্গনের জন্য থাইল্যান্ড থেকে পাইলোনিয়ন গাছ আনছেন তিনি। ইতিমধ্যে সমাজ সেবার জন্য সহিদুল হক মন্ডল বাংলার গৌরব, রাষ্ট্রীয় গৌরব, ডক্টরেট উপাধি, ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের পক্ষ থেকে USA Book of World records এর সম্মান প্রাপ্ত হয়েছেন তিনি। এবার দেশ তাঁকে ডঃ এপিজে আবদুল কালাম ভারতরত্ন সম্মান এ ভূষিত করেন। আগামী দিনে ডঃ সহিদুল হক মন্ডল এর চিন্তা ভাবনা গরিব দুঃখী মানুষের জন্য ফ্রী চিকিৎসার জন্য মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বানানো। লক্ষ্য একটাই মানুষের জন্য কাজ করা।

Share on Google Plus Share on Whatsapp



1 comments: