বর্ধমানের জাতীয় সড়কে বইকে রেসিং এ বলি এক তরতাজা যুবক ,প্রশ্ন উঠেছে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে

 মুজাফ্ফর আহমেদ:বর্ধমান :রবিবার মানেই বর্ধমানের ২ নম্বর জাতীয় সড়কের দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে চলে যায় বাইক রেসিংদের দখলে। একদল যুবক দ্রুতবেগে হাইওয়ে ধরে শো শো বেগে দুচাকা নিয়ে ছুটছে। আর তাতেই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক যুবকের। মৃত যুবকের নাম বরুণ কেজরিওয়াল।দুর্ঘটনা ঘটে বর্ধমানের ২ নম্বর জাতীয় সড়কের শক্তিগড়ে।তারা প্রতি রবিবার ডানকুনিতে জড়ো হয় তারপর তাদের গন্তব্য থাকে বর্ধমান। কখনো কখনো তারা বর্ধমান পেরিয়ে চলে যায় পানাগড়। জাতীয় সড়কের ধারে কোন বিলাসবহুল রেস্তোরায় মধ্যহ্নভোজন সেরে কিছুক্ষণের বিরতি। তারপর ফের রেসিং বাইক নিয়ে ডানকুনির উদ্দেশ্য রওনা অর্থাৎ বাড়ি ফেরা। কিন্তু রবিবার আর বন্ধুদের সঙ্গে মস্তি করে দ্রুতবেগে দামী বাইক চালিয়ে বাড়ি ফেরা হল না বরুনের। পাঁচ বন্ধু একের পর এক বিভিন্ন যানবাহন কাটিয়ে এগিয়ে গেলেও দ্রুতবেগে চলা মোটর বাইকে বেসামাল হয়ে রেসার বরুন বর্ধমানমুখী পণ্যবাহী লরির পিছনে ধাক্কা মারে। পুলিশ গুরুতম জখম বরুনকে উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিকেলকলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগে ভর্তি করলে চিকিৎসকরা মৃত বলে জানান। মৃত যুবক বরুন কেজরিওয়াল কলকাতার সল্টলেকে একটি অভিজাত আবাসনের বাসিন্দা ।মৃত বরুনের সোমবার ময়নাতদন্ত হয় বর্ধমানের পুলিশমর্গে। বন্ধুরা জানায় বরুনের প্যাশন ছিল বাইক রেসিং ।মুম্বাইয়ে বাইক রেসিংয়ে পুরস্কারও পেয়েছিল বরুন। কিন্তু সেই প্যাশনও রবিবার বিকালে প্রাণ কেড়ে নিল বরুনের। 
স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে। জাতীয় সড়ক ধরে দ্রুত গতিতে বাইক নিয়ে একদল উন্মত যুবক ছুটছে প্রতি রবিবার। অথচ পুলিশ শুধুমাত্র দর্শক। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেভ ড্রাইভ সেফ লাইফের হোডিং, ব্যানার টাঙানো আছে গোটা হাইওয়ে জুড়ে। তার বেশীর ভাগ হোডিংয়ে নাম বিভিন্ন থানার। সবই আছে।হোডিং কিংবা ব্যানারে পুলিশ প্রশাসনের চরম উদ্যোগ। কিন্তু রাস্তায় নেমে কাজের ক্ষেত্র বড়ই অবহেলা পুলিশের। রবিবারের দুর্ঘটনা ফের একবার তা প্রমাণ করলো।
Share on Google Plus Share on Whatsapp



0 comments:

Post a Comment