মায়ানমারে হিন্দু রোহিঙ্গাদের আদর-যত্নে রাখার নেপথ্যে

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের পাহাড়-জঙ্গলে যেসব রোহিঙ্গা মুসলমান আশ্রয় নিয়ে লতাপাতা খেয়ে কোনো মতে বেঁচে আছেন, সেনাবাহিনী তাদেরকেও খুঁজে বের করে আটক করছে। আবার পালিয়ে আসার পথে সেনাবাহিনী ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হাতে আটক হয়ে নির্যাতনের শিকার ও হচ্ছেন অনেকে। নির্যাতনের শিকার থেকে প্রাণে বাঁচার তাগিদে  কয়েক হাজার রোহিঙ্গা  নো ম্যানস ল্যান্ডে এসে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন। মিয়ানমারের সেনা ও সীমান্তরক্ষী বাহিনী তাদের চলাফেরা নিয়ন্ত্রণ করছে। তাঁবু থেকে কেউ বের হতে পারছেন না। এসব রোহিঙ্গা নারী, শিশু ও পুরুষ সুপেয় পানি ও খাদ্যাভাবে  অনেকেই অসুস্থ হয়ে মারাও যাচ্ছেন।
উল্লেখ্য, মংডুর ৬ নম্বর নেম্রের ৭-৮টি গ্রামে আগে হামলা করেনি সৈন্যরা। যেকোনো মুহূর্তে সেনাদের হাতে জীবন হারানোর আশঙ্কার মধ্যেও প্রায় পাঁচ হাজার রোহিঙ্গা এখনো সেখানে বাস করছেন।অন্য দিকে মিথ্যা সাক্ষ্যদাতা হিন্দু রোহিঙ্গার পুরস্কৃত করছে বৌদ্ধ ভিক্ষুরা।রোহিঙ্গা মুসলমানেরা হিন্দুদের হত্যা করছেন এমন মিথ্যা ও বানোয়াট সাক্ষ্যদাতা হিন্দুরোহিঙ্গা পুরস্কৃত হচ্ছে। বৌদ্ধ ভিক্ষু উইরাথু ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা মংডু সফরকালে এক বৌদ্ধবিহারে হিন্দুদের পুরস্কৃত করে।হিন্দু রোহিঙ্গাদেরকে তাদের দেয়া বিবৃতিতে অটল থাকার জন্য অর্থ প্রদান করা হয় বলে সূত্রের খবর ।
সূত্র আরো জানিয়েছে, মংডুর ফকিরা বাজারে পাহাড়ের গণকবর থেকে উত্তোলিত রোহিঙ্গা মুসলমানদের লাশকে হিন্দুর লাশ বলে প্রচার এবং হত্যার দায় মুসলমানদের ওপর পুরো পুরি চাপিয়ে দিতে কতিপয় হিন্দুকে বাধ্য করে  দেশের প্রশাসন। তাই প্রাণ বাঁচাতে হিন্দু রোহিঙ্গারা  বর্মি সেনাবাহিনীর শিখিয়ে দেয়া বুলি মিডিয়ার সামনে বলতে বাধ্য হচ্ছে । আর সেই সব হিন্দু রোহিঙ্গাকেই পুরস্কৃত করেছে বৌদ্ধ সন্ন্যাসীরা।বাড়ি-গাড়ি ও জমি দেয়ার প্রলোভন দিয়ে তাদের কাছ থেকে রোহিঙ্গা মুসলমানবিরোধী স্টেটমেন্ট নিয়েছে সেনাবাহিনী। পাশা পাশি সেসব প্রচার করা হচ্ছে মিয়ানমারের গণমাধ্যমে ও অন্যত্র ।
সূত্র - ডেইলী নয়াদিগন্ত 
Share on Google Plus Share on Whatsapp



0 comments:

Post a Comment