বিগত ২২ বছর গুজরাটে বিজেপি এমন তীব্র প্রতিরোধের সম্মুখীন হয়েছে বলে রাজনৈতিক মহলের জানা নেই। এদিকে আন্তর্জাতিক আনলাইন নিউজ পোটাল ডটকম আজ জানিয়েছে যে,গুজরাটে যে পরিস্থিতি তৈরী হয়েছে তাতে গ্রামীণ গুজরাটে বিজেপির. শোচনীয় হাল হওয়ার সম্ভবনা দেখছেন পযবেখক মহল। শহর. গুজরাটে ও বিজেপি গত বছরের ধরে রাখা ১০ থেকে ১৫ টি আসনে হেরে যেতে পারে বলে আশাঙ্কা ছড়িয়েছে।
রেডিভ ডট কমের মতে এবার নরেন্দ্র মোদীর জাদুকাটি তেমন কাজ দিচেছনা। গুজরাটে বিজেপির. টি আর পি কমতির দিকে। অমিত. শাহ. মাটি কামড়ে পড়ে থাকলেও আতঙ্ক তৈরী হয়েছে দলের আভ্যন্তরে নাশকতা নিয়ে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের এক শীর্ষ নেতারা অনুগামীরা মোদী,অমিত শাহকে শিক্ষা দিতে বদ্ধ পরিকর হয়ে উঠেছেন। রেডিভ ডট কমের মতে এবার বিধানসভা নিবার্চনে ১৮২টি আসনের মধ্যে বিজেপির পক্ষে ৮০ টি আসন দক্ষল করাই মহা চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছে।
রাজনৈতিক মহলের অনুমান যে,গুজরাটে কংগ্রেস যেভাবে দলিত, ওবিসি,পাতিদার ও মুসলমান নিয়ে সামাজিক আঁতাত গড়ে তুলছে তাতে বেজায় বিপাকে পড়েছে বিজেপি। সৌরাষট, দক্ষিন গুজরাটে বিজেপির সংকট তীব্র হয়েছে। এমনকি নগর গুজরাটে ও নোটবন্দি,জিএসটির বদৌলতে বিজেপির সমথক ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা ও বিজেপি ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে পড়েছেন। মোদী,অরুন জেটলি ,অমিত শাহরা পরিস্তিতি সামলানোর চেষ্টা চালাচ্ছে ও শেষ পযর্ন্ত. তা কতটা ফলবতী হবে তা নিয়ে নিশ্চিত নন রাজনৈতিক মহলের বড় আংশ। সামাজিক আঁতাতে কংগ্রেস বিজেপিকে অনেক পিছনে ফেলে এগিয়ে গেছে।
২০১৪ সালে যেভাবে মোদীর জনসমাবেশে লোকসমাগম হতো এবার তা দেখা যাচেছ কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর সভায়। বিজেপির দীর্ঘ ২২ বছরের গুজরাট শাসনে যে প্রতিস্ঠান বিরোধী মানসিকতা তাকে প্রতিহত করতে রাম মন্দির, পদ্মা অবতীর্ণ বিতর্ক সামনে আনা হলেও দলে আভ্যন্তরীন নাশকতার জন্যে তা কতটা কাজে লাগবে তা নিয়ে ও চিন্তায় বিজেপি আর এস এস নেতারা। হিন্দুত্বের রসায়নগার হিসেবে চিহ্নিত গুজরাটে শেষ মুহূর্তে চরম সাম্প্রদায়িক প্রচার চালানো হচ্ছে গ্রামে গ্রামে বলা হচ্ছে কংগ্রেস ফিরে আসা মানে গুজরাটে মুসলিম শাষন চালু হওয়া।
উচ্চবনের হিন্দুদের মধ্যে বিশেষ করে বাভন ও রাজপুতদের মধ্যে হিন্দুত্বের প্রভাব থাকলেও হিন্দু দলিত, হিন্দু উপজাতি, হিন্দু পাতিদার ও হিন্দু ও বিসিদের মধ্যে বিজেপির সাংগঠনিক শক্তি তথা জনপ্রিয়তা যে কমছে সে বিষয়ে নিশ্চিত রাজনৈতিক মহল।গুজরাটে মোদী,বিজেপির হার নিয়ে নিশ্চিত দলিত,উপজাতি, ওবিপি ও পাতিদার সমাজের নেতারা। কংগ্রেসের পক্ষে বতর্মান পরিস্থিতি শতাধিক আসন পাওয়া মোটেই অপ্রত্যাশিত ঘটনা হবে বলে মনে করছেন না গুজরাটের রাজনৈতিক মহল।.
0 comments:
Post a Comment