Indiapost24 Desk:পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার রাজনিতীতে অনুব্রত মণ্ডলের নামটি সাংগঠনিক দক্ষতার জন্য ওতপ্রোত ভাবে জড়িত শুধু আজ থেকেই নয় তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকেই |তাই হয় তো বিভিন্ন গণমাধ্যমের মাধ্যমে মানুষজনের কাছে বীরভূম জেলাটি অনুব্রত গড় হিসাবেই কাছে পরিচিত..
আজ তাঁরই নির্দেশে বীরভূম জেলায় ৬ টি বিধানসভা যথাক্রমে বোলপুর,নানুর , লাভপুর , মঙ্গলকোট , আয়ুস গ্রাম সহ কেতুগ্রাম বিধানসভা থেকে কমবেশি ৯০০০ হাজার তৃণমূল দলীয় বুথ কর্মী সমর্থক কর্মিসভাকে সাফল্য মন্ডিত করতে উপস্থিত হয়েছিলো বোলপুরের ডাকবাংলো মাঠে | উক্ত কর্মিসভায় অনুব্রত বলেন, আগামী পঞ্চায়েতে কিভাবে ত্রি-স্তর লড়াইয়ে পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে বীরভূম জেলাকে বিরোধি শূন্য করে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জীকে উপহার দেওয়া যায় এটাই আমাদের সকলের প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত |
আর এই কর্মযজ্ঞের উদ্দেশ্যেই তিঁনি বার বার বলেন বুথ কমিটি থেকেই শুরু হয় রাজনৈতিক লড়াই, আর সেই লড়াইটাই পুরপুরি রাজনৈতিকগত | প্রসঙ্গত আরো উল্লেখ করেন এই বুথ কমিটির সদস্যরাই ভোটের সময় প্রতিটি মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নের বার্তা মানুষের দুয়ারে দুয়ারে ছড়িয়ে দিয়ে ভোট সংগ্রহ করতে ভোটের সময় কাজ করে তাই তাঁদেরকে উৎসাহিত করাই হল দক্ষ সাংগঠনিক হিসাবে তাঁর প্রধান ও একমাত্র কাজ | তবে রাজনৈতিক ভিন্নতা ও লড়াইতো থাকবেই কারণ গণতন্ত্রের ভিত্তি টাই হলো আলোচনা সমালোচনা কিন্তু এই রাজনৈতিক লড়াইয়ের মধ্যে মিথ্যা অপপ্রচারটা সবচেয়ে খারাপ বলে তিঁনি মন্তব্য টানেন | প্রসঙ্গত,দিদির নেতৃত্বে সাম্প্রতিক পশ্চিমবাংলায় খেটে খাওয়া ও দারিদ্র সীমার নিচে থাকা মানুষজনদের জন্য প্রায় ৫ লক্ষ্য ৫o হাজার ঘরের মধ্যে ২২ থেকে ২৩ হাজার ঘর তিঁনি পাবেন তাঁর নিজের জেলার জন্য যা ১৯ টি ব্লকের মধ্যে কমবেশি ১১০০-১২০০ করে ঘর ভাগ করে দেবেন বলে এদিন বুথস্তরীয় কর্মিসভার জানান ও কর্মীদের নির্দেশ দেন যাদের আর্থিক অবস্থা খারাপ, ঘর নির্মাণ করার ক্ষমতা নেই তাঁদেরকে যেন সঠিক পরিষেবা দেওয়া হয় | তাঁরা যেন তাঁদের প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত না হয়..
এদিন তিনি আরো বলেন যে বা যারা যাই কিছু বলুক না কেন রাজ্যের সব সাধারণ জনগণ জানেন এই ৬ বছরে অল্প সময়ের পরিসরে এই মা-মাটি-মানুষের সরকার তাঁদের কি কি দিয়েছে খাদ্যসাথী,কন্যাশ্রী, যুবশ্রী, সবুজ সাথী, শিক্ষাশ্রী ,নায্যমূল্যে ওষুধের দোকান,শিশুসাথী,পথ সাথী,খেলাশ্রী এই রখমের মোট ২২ টি জনহতিকর প্রকল্প যা দিনে দিনে বদলে দিচ্ছে রাজ্যের পরিস্থিতি |
তাই এক দিনের সেই আপোষহীন অন্যায়ের প্রতিবাদী নেত্রী মমতা ব্যানার্জী আজ তিঁনি সবার উপরে স্নেহময়ী মমতা ব্যানার্জী,তাই তিনি আজ জননেত্রী | বিগত ৩৪ বছরের অপশাসনে যাঁরা এই সুযোগ সুবিধা পায়নি তাঁরা আজকে এই সব সুযোগ সুবিধা পেয়ে বাংলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী কে ছাড়া বাংলার মাটিতে আর কাউকে এই পদে দেখতে চান না বলে তিনি দাবি করেন |এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রীর আরও অনেক আগত প্রকল্প আছে যা প্রতিটি মানুষের জীবনযাত্রাকে দেবে এক মান ও মাত্রা ও দুশ্চিন্তাহীন জীবন |
তিনি আমাদের সংবাদ মাধ্যমেকে আরোও বলেন "আমাকে নিয়ে বিভিন্ন মিথ্যা ও সমালোচনামূলক কথাবার্তা বলে থাকছেন কিছু সংগঠনহীন নেতা-নেত্রীরা কারণ হল আমাকে নিয়ে সমালোচনা না করলে তো তাঁরা মিডিয়ার সামনে আর টি আর পি পাচ্ছে না বা কোনো নিউজ চ্যানেল এর টক্ শো তে আমন্ত্রণও পাচ্ছেন না , ফলে মিডিয়ার সামনে নিজেদের মুখ দেখাতে ইচ্ছে হলেই কমবেশি অণুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে জোরজবরদস্তি জড়িয়ে বিভিন্ন ভাবে তাঁদের বলতে হয় এবং মিথ্যা অভিযোগ করতে হয় | তাই তিনি জানান বিভিন্ন বিরোধী দলের নেতা-নেত্রীরা যাঁরা তাঁর বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখছেন এক শতাংশও সত্যতা নেই" |
এই ভাবে এদিন এর এই সভাতে তিনি দলীয় বুথ স্তর থেকে অঞ্চল থেকে ব্লক স্তরের সব দলীয় কর্মীদের কে উৎসাহিত করে ও দিদির সমস্ত দলীয় গাইডলাইনস কে বুঝিয়ে চাঙ্গা করে আরো এক বার প্রমান করে দিলেন বীরভূম মানেই অনুব্রত গড় আর দিদির ঘাঁসফুলের চাষের জন্য আজও এক উর্বর ভূমি!
0 comments:
Post a Comment