NNS : কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধীর নির্দেশে শেষ পর্যন্ত আমেদ প্যাটেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আসন্ন রাজ্যসভার নির্বাচন নিয়ে কথা বলেন। সূত্রের খবর যে, শেষ পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ থেকে রাজ্যসভায় কংগ্রেসের প্রার্থী হচ্ছেন অভিষেক মনু সিংভি। কংগ্রেস সূত্রে এ খবর জানা গেছে। এ আই সি সি নেতৃত্ব গতরাতে কংগ্রেস নেতা আবদুল মান্নানকে ফোন করে বলেও খবর। তাকে প্রার্থী নির্বাচনের বিষয়টি জানিয়ে দেয়া হয়।
শোনা যাচ্ছে সোনিয়া গান্ধী নিজে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে প্রদেশ কংগ্রেস সূত্রে খবর, আব্দুল মান্নান চেষ্টা করেছিলেন বামেদের সঙ্গে সহমত পোষণ করে অরাজনৈতিক কোন ব্যক্তিকে প্রার্থী করতে। কিন্তু বামেদের তরফে বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যর নাম উঠে আসছিল। কিন্তু তিনি অরাজনৈতিক ব্যক্তি নন। এ আই সি সি- কে জানিয়ে দেয় রাজ্য কংগ্রেস।
এরপরই মনু সিংভি কে প্রার্থী ঘোষণা করে কংগ্রেস। সূত্রের খবর, মনু সিংভিকে জেতানোর জন্য তৃণমূলের সমর্থন চেয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে এ আই সি সি। ইতিমধ্যেই এ ব্যাপারে আমেদ প্যাটেল সক্রিয় হয়েছেন।
বর্তমান তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যসভার সদস্য ও প্রাক্তন কংগ্রেস বিধায়ক মানস ভুঁইয়া পদত্যাগ ও উত্তর 24 পরগনার নোয়াপাড়ায় হারের পর খাতায়-কলমে এখন কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যা 42। এ রাজ্য থেকে জেতানোর জন্য কংগ্রেসের পর্যাপ্ত বিধায়ক নেই। এমনিতেও অন্য দলের সমর্থন লাগবে কংগ্রেসের।
42 বিধায়কের মধ্যে বেশ কয়েক জন বিধায়ক বিভিন্ন সময়ে কংগ্রেস ছেড়েছেন। তবে তারা বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন নি।গতকাল মুর্শিদাবাদে কান্দির বিধায়ক অপূর্ব সরকার কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। দলত্যাগী কংগ্রেস বিধায়কদের বিষয়টি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন মান্নান।
এর আগে এ রাজ্য থেকে রাজ্যসভায় যান প্রদীপ ভট্টাচার্য । বামেদের হয়ে রাজ্যসভায় যান সীতারাম ইয়েচুরি।
রাজনৈতিক মহল মনে করছেন যে, সি পি এম রাজ্যসভার নির্বাচন নিয়ে কংগ্রেসের ডাকে সাড়া না দেওয়ায় শেষ পর্যন্ত তারা তৃণমূলের হাত ধরার রাস্তায় যাচ্ছেন। এই নতুন সমীকরণ পশ্চিমবঙ্গে আগামীদিনে বাম- কংগ্রেস জোট সমীকরণের অন্তরায় হয়ে দাঁড়াতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।
0 comments:
Post a Comment