Indiapost24 Web Desk:প্রত্যাশিতভাবেই জাতীয় রাজনীতিতে নরেন্দ্র মোদি বিরোধী সবর মুখ মমতা ব্যানার্জি তার নিকটতম বিজেপির প্রিয়ঙ্কা টিব্রেওয়ালকে পরাজিত করে হাইভোল্টেজ বিধানসভা উপনির্বাচনে ভবানীপুরে 58832 ভোটে জয়ী হলেন নিজের অতীতের রেকর্ড নিজেই ভেঙে। ভবানীপুর কেন্দ্রের ৮ টি ওয়ার্ডেই জয়ী হয়েছেন মমতা। বিগত বিধানসভা নির্বাচনের 70 ও 74 নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপির লিড ছিল আর এবারও 100% থাকবে বলে 6 নম্বর মুরলীধর সেন লেন থেকে বিজেপির হেস্টিংস কার্যালয়ে ছিল পাকাপাকি খবর। কিন্তু এই দুই ওয়ার্ডেও এগিয়ে তৃণমূল। কিভাবে হলো এই ব্যাপক জয়?
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে
ভোটে জিতলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তবে শুধু এই জয় তাঁর নয়,এই জয় হল আরও কয়েক জনের, যারা কার্যত পরীক্ষা দিলেন আরও একবার মমতা বন্দোপাধ্যায়ের পাশে থেকে।ভবানীপুর উপনির্বাচনে এই বলিষ্ঠ রাজনৈতিক যোদ্ধাদের মধ্যে সর্ব প্রথম ও অন্যতম নাম হল মমতার সর্বক্ষণের সঙ্গী মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। সব কিছু সামলেও গত এক মাস ধরে প্রতিদিন সকাল থেকে রাত অবধি ভবানীপুরের ভোটে প্রচার চালিয়ে গিয়েছেন। বহুতলে গিয়েও সেরেছেন প্রচার আবার করেছেন মিছিল। লড়াইয়ের মঞ্চ ছেড়ে যাননি মমতার একান্ত আস্থাশীল ভোট কারিগর চেতলার ববি হাকিম।
এদিন নির্বাচন ফলাফল দেখে স্বাভাবিকভাবেই খুবই খুশি। আর এই বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ বললেন,'এটা যতটা ছিল মমতা ব্যানার্জীর ভোট। ঠিক ততটাই ছিল আমার ভোট। বিরোধীরা অনেক কুত্সা করেছে। অনেক ভিত্তিহীন মিথ্যা অভিযোগ এনেছে । কেন্দ্র থেকে একাধিক নেতা নিয়ে এসে প্রচার চালিয়ে গেছেন। কিন্তু ভবানীপুরের মানুষ জানে মমতা বন্দোপাধ্যায় তাঁদের ঘরের মেয়ে। আর মানুষজন পুরোপুরি উন্নয়নের রায়ে তাদের মূল্যবান ভোট দান করেছেন'
আর এইভাবে ভবানীপুরের ঘরের মেয়ের এই রেকর্ড পরিমাণ ভোটে জেতানোর পেছনে ববি হাকিমের অন্যতম অবদান অনস্বীকার্য যা ভবানীপুর সহ গোটা রাজ্যবাসী এই দিনটির সাক্ষী হয়ে থাকল। তাই হয়তো কার্যত মমতা ব্যানার্জি তার ঘাড়ে নির্বাচনী প্রচারের গুরু
দায়িত্ব দিয়ে নিশ্চিন্তে নিজে গোটা রাজ্য ব্যাপী প্রশাসনিক সমস্ত কর্ম-কাণ্ডে ব্যস্ত ছিলেন বলে মনে করছেন ভোট বিষয়ক রাজনৈতিক বিদ্বজ্জনেরা।
0 comments:
Post a Comment