নাজমুল হাসান:2011 সালে পশ্চিমবঙ্গে ভয়াবহ রাজনৈতিক বিপর্যয় তথা দলের সংগঠন ভেঙ্গে পড়ার ঘটনায় একদা 34 বছরের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল সিপিএম একেবারেই ভেঙে পড়েছে ! তবে 11 বছরে কিছুটা হলেও সামান্য এগিয়ে আসার বার্তা পাওয়া গেছে সাম্প্রতিক পশ্চিমবঙ্গের নগর-নিগম ও পৌরসভার নির্বাচনে!আর এরপরই সিপিএমের অভ্যন্তরে কোথাও যেন হারানো রাজনৈতিক জমি পুনরুদ্ধারের একান্ত প্রচেষ্টায় প্রবীণ নেতৃত্বকে সরিয়ে অপেক্ষাকৃত তরুণ নেতৃত্বকে সামনে আনার নীতি নিয়েছে সিপিএম! দলের পলিটব্যুরোর সদস্য ও মুসলিম মুখ তথা পোড়খাওয়া রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও সুবক্তা হিসাবে দলের অন্দরে পরিচিত মোহাম্মদ সেলিমকে নতুন বঙ্গ সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক করে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছে সিপিএম! মোহাম্মদ সেলিমের পাশে মীনাক্ষী,শতরূপ,সুশান্ত ঘোষ সায়নদীপ মিত্র সহ একাধিক তরুণ নেতাদের নতুন রাজ্য নেতৃত্বে আনা হয়েছে!ইতিমধ্যে আবার বর্ষিয়ান নেতা বিমান বসু দলের অন্দরে জানিয়েছেন তিনি বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান পদ ছেড়ে দিতে চান!
এদিকে দেশভাগ ও সিপিআই ভাগের 75 বছরের ইতিহাসে এই প্রথম সিপিএমের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সম্পাদক করা হয়েছে কোন এক মুসলিম মুখকে! সিপিএমের অভ্যন্তরে থাকা বাঙালি মুসলিম কমরেডরা অবশ্য সেলিমকে তৃণমূল স্তর থেকে উঠে আসা রাজনৈতিক রসদ-এ পরিপূর্ণ এক লড়াকু ও অভিজ্ঞ নেতা বলেই অকাতরে মানছে!তাই এইভাবে মোহাম্মদ সেলিমের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা ও কুশলতাকে হাতিয়ার করে কিছুটা হলেও আগামী দিনে দলের সাংগঠনিক শক্তিকে কার্যত বাড়াতে মরিয়া হয়ে উঠেছে এক সময়ে 34 বছরের একছত্র ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল!প্রসঙ্গত বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য বিশেষ করে মোহাম্মদ সেলিমকে রাজ্য নেতৃত্বে আনতে বিশেষভাবে সহযোগিতা করে এসেছেন বলে ঠিক এমনটাই দলের অন্দরে খবর!
পশ্চিমবঙ্গ সিপিএম থেকে মুসলিম সংখ্যালঘুরা 11 বছর আগে তাদের রাজনৈতিক আনুগত্য পাল্টে মমতা-মুখী হয়ে তৃণমূল কংগ্রেসে চলে গিয়েছেন! কার্যত পশ্চিমবঙ্গের সিপিএমের পিছনে সাধারণ মুসলিমদের কোন সমর্থন আর নেই বললেই চলে তাই মোহাম্মদ সেলিমকে বাজি রেখে সিপিএম পশ্চিমবঙ্গের 30% মুসলিমদের একাংশ দলের পেছনে আনতে চান বলেই অনুমান রাজনৈতিক মহলে! যদিও বাংলা তথা দেশভাগের পর কোন কমিউনিস্ট দলের রাজ্য সম্পাদক সেলিম এর মত একজন মুসলিম,এমন ঘটনা যে রীতিমতো তাৎপর্যপূর্ণ তা মানছেন গোটা রাজ্য রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল!
0 comments:
Post a Comment