ত্রিপুরায় হারলে চাপ বাড়বে আসামেও!




NNS,গুয়াহাটি:2 মার্চ আগামীকাল ত্রিপুরা মেঘালয়,নাগাল্যান্ড বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষিত হবে!ইতিমধ্যে ত্রিপুরায় ভোট পর্ব নিয়ে চিন্তায় গেরুয়া শিবিরের অন্যতম প্রধান সেনাপতি অমিত সাহা! দলের অন্দরে কার্যত আভাস ইঙ্গিতে হার কবুল করা হয়েছে!  কংগ্রেস ও সিপিএম এর কেন্দ্রীয় নেতারা নিশ্চিত যে ত্রিপুরায় বিজেপি হারছে এবং কংগ্রেস-সিপিএম জোট ত্রিপুরায় সচিবালয়ে ক্ষমতায় বসেছে! এই নিয়ে তারা 100% নিশ্চিত বলে খবর শুধু তাই নয় ত্রিপুরা থেকে মোদি-যামানা শেষের দিন শুরু হতে চলেছে বলেই আশায় দিন গুনছেন বামপন্থী ও কংগ্রেস নেতারা! 


শুধু ত্রিপুরার জয় নিয়েই নয় আগামী দিনে সমগ্র উত্তর-পূর্বে বিজেপি ও তাদের সহযোগীরা প্রবল রাজনৈতিক চাপে পড়তে পারেন এমন সম্ভাবনায় দিন গুনছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশে! হিমন্ত বিশ্ব শর্মা সহ আসমের বিজেপি নেতারাও  মনে করছেন যে সত্যিই ত্রিপুরায় এবারের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির হার হলে অসমে কংগ্রেস ও বিজেপি বিরোধী আঞ্চলিক শক্তি গুলি রাজনৈতিক চাপ বাড়াতে চেষ্টা শুরু করবে! তবে এই মুহূর্তে কংগ্রেস উজ্জীবিত রাজনৈতিক শক্তি নয় এটাই গেরুয়া শিবিরের বাঁচোয়া,তবে ত্রিপুরায় হারলে অসম সহ যে সমগ্র উত্তর- পূর্বে একদিকে বিজেপি অন্যদিকে আরএসএস এবং তাদের সহযোগী শক্তি আঞ্চলিক দলগুলির উপর চাপ বাড়বে তা মানছেন গেরুয়া শিবিরের অন্দরমহল! ত্রিপুরায় মাত্র পাঁচ বছরে,বিজেপি শাসনের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিষ্ঠার বিরোধিতার রাজনীতি যে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে বিপাকে ফেলেছে তা বলাই বাহুল্য! আবার এই বছরে কর্ণাটক,তেলেঙ্গানা,রাজস্থান ছত্তিশগড়,মধ্যপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে আবারও কঠিন লড়াইয়ের মুখে বিজেপি! কেন্দ্রীয় সরকারের নানা নীতি, মূল্যবৃদ্ধি,বেকারি,আর্থিক সংকটে জেরবার মোদি-শাহরা ঠিক কিভাবে প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার চাকা ঘোরান সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছেন রাষ্ট্রীয় স্তরের গোটা রাজনৈতিক মহল!

Share on Google Plus Share on Whatsapp



0 comments:

Post a Comment