রনি,পার্ক সার্কাস:মে মাসের শেষ সপ্তাহে পশ্চিমবঙ্গে ত্রিস্তরিয় পঞ্চায়েত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে নির্ভরযোগ্য সূত্রের উপর ভিত্তি করে। এ ব্যাপারে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের পাশে নবান্নের প্রস্তুতি তুঙ্গে উঠেছে।ইতিমধ্যে পশ্চিমবঙ্গ পঞ্চায়েত নির্বাচনের মূল প্রতিপক্ষ দলগুলি- শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস, প্রধান বিরোধী দল বিজেপি, সিপিএমের নেতৃত্বে বাম শিবির ও কংগ্রেসের আনুষ্ঠানিক সাংগঠনিক প্রস্তুতি ও প্রার্থী বাছাইয়ের প্রাথমিক কাজ শুরু হয়ে গেছে। স্বাভাবিকভাবেই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের সাংগঠনিক এডভান্টেজ অনেক বেশী। প্রায় ৭৪ হাজার গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিশদের ১০০ শতাংশ আসনেই প্রার্থী দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। জেলায় জেলায় তৃণমূল নেতৃত্বের পাঠানো তালিকা যে স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মনিটার করবেন, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা রাজ্য নেতৃত্ব সবুজ সংকেত দেবেন তা নিয়ে নিশ্চিত রাজনৈতিক মহল। বিজেপিও বুথ ভিত্তিক সংগঠন গড়ে জেলায় জেলায় প্রার্থী তালিকার প্রস্তুতি শুরুক রলেও প্রায় ৫০ শতাংশ আসনে বিজেপি আদৌ প্রার্থী দিতে পারবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ আছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব নিশ্চিত ২০ হাজারেরও বেশি বুথে বিজেপির সাংগঠনিক পরিকাঠামোই নেই। মুসলিম প্রধান জেলা, ব্লক, পঞ্চায়েতে কার্যত বুথ ভিত্তিক কোন সাংগঠনিক পরিকাঠামোই নেই বিজেপির। যা একান্তে স্বীকার করেছেন সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষের মত নেতারা। তবে শেষ পর্যন্ত ৩৫ /৩৬ হাজার বুখে প্রার্থী দিতে সক্ষম হবে বিজেপি এমনটাই মনে করছেন কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতারা পাশাপাশি রাজ্য রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল। বামপন্থী শিবির পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করলেও সিপিএম ছাড়া আরএসপি, সিপিআই,ফরোয়ার্ড ব্লক এর সাংগঠনিক ভাঙ্গনের ফলে বাম শিবিরের পক্ষেও 80 হাজারেরে বেশী বুখে প্রার্থী দেওয়া সম্ভবপর কিনা তা নিয়ে সন্দেহ দানা বেঁধেছে।
পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব মুর্শিদাবাদ,মালদহ, উত্তর দিনাজপুরে বেশী জোর দিতে চাইছেন।কংগ্রেসের পক্ষেও হাজার দশেক আসনেই প্রার্থী দেওয়া সম্ভব বলে মনে করা হচ্ছে।তাই বলাই বাহুল্য যে সর্ব দিক থেকে বিবেচনা করে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ দল গুলি থেকে অনেকটাই এগিয়ে আছে!
0 comments:
Post a Comment