কর্ণাটকে আশায় গেরুয়া শিবির





Indiapost24 Web Desk:কর্ণাটকে বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির  শোচনীয় পরাজয় ঘটেছিল। কংগ্রেস একক শক্তিতে কর্ণাটকে ক্ষমতায় আসার পর বিজেপি জোট রাজনীতিতে ফিরে যায়। দেবগৌড়া-কুমারস্বামীর জনতা দল-সেকুলারের সঙ্গে বিজেপি ফ্রন্ট গড়েছে। শুধু তাই নয়, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লিঙ্গায়েত নেতা ইয়েদুরাপ্পার পুত্র বিজয়েন্দ্রকে কর্ণাটক বিজেপির সভাপতি করা হয়। নানা প্রাক নির্বাচনী সমীক্ষায় কর্ণাটকে গেরুয়া শিবিরের ভাল ফলের ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।

এদিকে বিধানসভার হার ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে বিজেপি লোকসভা নির্বাচনে ভাল ফল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। আর এস এস-বিশ্ব হিন্দু পরিষদ-বজরং দল বিজেপির আগাম প্রচার শুরু করেছে লোকসভা নির্বাচনের।

রাজনৈতিক মহল মনে করছেন যে, বিধানসভা নির্বাচনে নির্বাচনে বিজেপি হারলেও নানা কৌশল, সংগঠন জোরদার করে প্রচারে নেমেছে বিজেপি। তারা লোকসভা নির্বাচনে ভাল ফল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। ইয়েদুরাপ্পা নিজে প্রচারে নেমেছেন। বিজেপি-জনতা(এস) জোটে জয়ের অক্সিজেন যুগিয়ে চলেছে।

এদিকে ইন্ডিয়া টিভি-সি এন এক্সের প্রাক নির্বাচনী সমীক্ষায় কর্ণাটকে বিজেপির ভোট  প্রাপ্তি ও আসন সংখ্যা বাড়ার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। ইন্ডিয়া টিভি জানিয়েছে কর্ণাটকের ২৮টি লোকসভা আসনের মধ্যে এবার বিজেপি ২২টি আসন ও ৩৯ শতাংশ ভোট পেতে পারে। কংগ্রেস ৩৭ শতাংশ ভোট ও ৬টি আসনে জিততে পারে। বিজেপির জোট শরিক জনতা দল-সেকুলার ৭ শতাংশ ভোট ও ২টি আসন জিততে পারে। তবে ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে কর্ণাটকে বিজেপির যে ভাল মাপের জয় হয়েছিল এবার তা যে সম্ভব নয় তা শুধু ইন্ডিয়া টিভি-সি এস এক্সি নয় অন্য নানা সমীক্ষাতেই উঠে এসেছে। তবে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সামগ্রিক ভাবে এবার কর্ণাটক সহ দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে ভাল ফল করবে বলে আশা ব্যক্ত করেছেন। মুখে ৪০০ পাব  দাবি করলেও নানা রাজ্য থেকে এবার বিজেপির আসন কমার সম্ভাবনায় মোদী-শাহদের যে উদ্বেগ যে বেড়েই চলেছে তা বলাই বাহুল্য।

Share on Google Plus Share on Whatsapp



0 comments:

Post a Comment