Indiapost24 Web Desk:নিট বিতর্কে উত্তাল সারা দেশ। বিরোধীদের লাগাতার আক্রমণে প্রবল চাপের মুখে দেশের নব-নির্বাচিত মোদী সরকার। এসবের মাঝেই শুরু সংসদের অধিবেশন। এটি সংসদের বিশেষ অধিবেশন হতে চলেছে যেখানে লোকসভা নির্বাচনে জয়ী সদস্যরা সাংসদ হিসাবে সংসদে শপথ নেবেন।
একদিকে বিরোধীরা যখন সংসদের অভ্যন্তরে সরকারকে কোণঠাসা করার চেষ্টা করছে ঠিক তখনই দেশের জরুরি অবস্থার কথা উল্লেখ করে কংগ্রেসকে নিশানা করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। সংসদ ভবনের গেটে তাঁর ভাষণে জরুরি অবস্থার কথা উল্লেখ করে বিরোধীদের নিশানা করে মোদী বলেন, ‘২৫ জুন ভারতের গণতন্ত্রের সেই ‘কালো দাগের’ ৫০ বছর পূর্ণ হচ্ছে। ভারতের নতুন প্রজন্ম সেই দিনটি কখনই ভুলবে না যখন ভারতের সংবিধান সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিল, সংবিধানের প্রতিটি অংশকে ‘টুকরো টুকরো’ করে ছিঁড়ে ফেলা হয়েছিল। গণতন্ত্রকে সম্পূর্ণরূপে দমন করা হয়েছিল। আমাদের সরকার সংবিধানকে রক্ষা করে, ভারতের গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক ঐতিহ্যকে রক্ষা করে, দেশবাসী এই প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে যে ৫০ বছর আগে যা করা হয়েছিল ভবিষ্যতে তা আর কেউ করতে সাহস পাবে না। আমরা ভারতের সংবিধানের নির্দেশ অনুযায়ী সাধারণ মানুষের স্বপ্ন পূরণের অঙ্গীকার করব’।
ছাড়াও এদিন মোদি এই বিষয়ে পরপর কয়েকটি ট্যুইট করেন। লেখেন, 'যে মানসিকতা থেকে জরুরী অবস্থা জারি করেছিল সেটা এখনও সেই পার্টির মধ্যেই তা অনেকটাই জীবন্ত অবস্থায় রয়েছে। তারা তাদের উপর উপর সংবিধানের প্রতি তাদের ঘৃণা লুকিয়ে রাখে কিন্তু ভারতের জনগণ তাদের বিদ্বেষ দেখেছে এবং সেই কারণেই বারবার তাঁদের প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে।' তিনি লেখে, 'শুধু ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার জন্য তৎকালীন কংগ্রেস সরকার প্রতিটি গণতান্ত্রিক নীতিকে উপেক্ষা করে দেশকে কারাগারে পরিণত করেছিল। কংগ্রেসের সঙ্গে একমত না হওয়ার জন্য যে কোনও ব্যক্তিকে নির্যাতন ও হয়রানি করা হত।'
এদিকে আজ ভারতীয় জনতা পার্টি দেশের বিভিন্ন অংশে ১৯৭৫ সালের ২৫জুন ইন্দিরা গান্ধী সরকারের জারি করা জরুরী অবস্থা, প্রেস সেন্সরশীপ ও জয়প্রকাশ নারায়ন, মোরারজী দেশাই, অটল বিহারী বাজপাই, লালকৃষ্ণ আদবানী সহ জাতীয় বিরোধী নেতাদের গ্রেফতারের ঘটনা তুলে ধরে কংগ্রেস দলকে আজ প্রবল আক্রমন চালায়। কলকাতাতেও বিজেপি ২৫জুন ১৯৭৫ আজ থেকে ৫০ বছর আগে জারি জরুরী অবস্থার ঘটনা তুলে ধরে কংগ্রেস ও তার দোসরদের প্রবল আক্রমন চালিয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য যে, ইন্দিরা গান্ধীর জারি করা জরুরী অবস্থাকে প্রবল ভাবে সমর্থন করেছিল সি পি আই। সিপিএম গা বাঁচানোর নীতি গ্রহণ করে। সারা দেশ জুড়ে ফার্নানডেজ গোপন স্থানে থেকে জরুরী অবস্থার করেছিলেন। সেই লিস্টে নেতা জর্জ ফার্নানডেজ গোপন স্থানে থেকে জরুরী অবস্থার আন্দোলন পরিচালনা করেছিলেন!
0 comments:
Post a Comment