Indiapost24 Web Desk: লোকসভা নির্বাচনের পর বিজেপি অনেকটাই ব্যাকফুটে। চন্দ্রবাবু নাইডু, নীতিশ কুমার, চিরাগ পাসোয়ান, একনাথ শিন্ডে, এইচ ডি কুমারস্বামীদের মত জোট শরিকদের সমর্থন ভরসায় নরেন্দ্র মোদীকে বাধ্য হয়ে কেন্দ্রে কোয়ালিশন সরকারে যেতে হয়েছে। এই সরকারের স্থায়িত্ব নিয়ে দলের অন্দরে তো বটেই, বিজেপির চালিকা শক্তি আর এস এসের মধ্যেও সংশয় আছে।
এর মধ্যে এবছরেই হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র, ঝাড়খন্ড সামনের বছরের গোড়ায় দিল্লিতে বিধানসভা নির্বাচন। যা নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহদের কাছে কার্যত অগ্নিপরীক্ষায় সামিল। তাই মহারাষ্ট্রে ক্ষমতা ধরে রাখতে গেরুয়া শিবিরের অন্দরে পর্যালোচনা শুরু হয়েছে। মহারাষ্ট্রে ৪৮টি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে বিজেপি-শিন্ডে শিবসেনা ১৭টি, ইন্ডিয়া জোট ৩১টি আসন জিতেছে। মহারাষ্ট্রের ২৮৮টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে ইন্ডিয়া জোট ১৫৩টি ও বিজেপি জোট ১৩৫টি আসনে এগিয়ে। মুসলিম-দলিত-মারাঠারা দলবদ্ধভাবে ইন্ডিয়া জোটের পক্ষে ভোট দেওয়ায় প্রমাদ গণছে বিজেপি।
তাই মহারাষ্ট্রে আর এস এস থিংট্যাংকের পরামর্শে শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে ও তাঁর সমর্থকদের এন ডি এ জোটে টানতে কৌশল নেওয়া হচ্ছে। দেবেন্দ্র ফড়নবিশ-এর উদ্ধব ঠাকরে বিরোধী লাইন দলের মধ্যেই প্রশ্ন চিহ্ন তুলেছে। দেবেন্দ্র ফড়নবিশ-অমিত শাহদের মহারাষ্ট্র লাইন এবার লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে কোন ডিভিডেন্ট দেওয়া তো দূরের কথা ব্যাপক বিপর্য্যয় নামিয়ে এনেছে।
তাই মহারাষ্ট্র নিয়ে চিন্তন বৈঠক করে চলেছেন বিজেপি জাতীয় ও রাজ্য নেতৃত্ব। শিবসেনার উদ্ধব গোষ্ঠী ও শিন্ডে গোষ্ঠী মিলে উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হোক এমনটাই চাইছেন সংঘের থিংট্যাংকরা। যদিও উদ্ধব ঠাকরে বিজেপির রাজনৈতিক দুর্বলতা বুঝে ইন্ডিয়া জোটে থাকার বার্তাই দিয়ে চলেছেন।
0 comments:
Post a Comment