Indiapost24 Web Desk:জি কর হাসপাতালে তরুনী চিকিৎসকের হত্যা, ধর্ষণ কান্ড ও হাসপাতালের সীমাহীন দূর্নীতি নিয়ে কেন্দ্রীয় এজেন্সী সি বি আই, ইডির তদন্তকে চ্যালেঞ্জ করে কলেজের ধৃত প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের সি বি আইয়ের তদন্তের বিরোধীতা করে করা আবেদনে আজ সাড়া দিল না শীর্ষ আদালত। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে হস্তক্ষেপ করল না সুপ্রিম কোর্ট। "এই মুহূর্তে হস্তক্ষেপের প্রয়োজন নেই। আপনি হস্তক্ষেপের জায়গায় নেই।" আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষের উদ্দেশ্যে বলেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি পারদিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ। আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়। ওই মামলায় প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল। তাই তাঁর বিরুদ্ধেও সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। কলকাতা হাইকোর্টের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ।
তবে তাঁর আবেদন পত্রপাঠ নাকচ করে দিল শীর্ষ আদালত। শনিবার তিন বিচারপতির বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, "এই মুহূর্তে হস্তক্ষেপের প্রয়োজন নেই। আপনি হস্তক্ষেপের জায়গায় নেই। কলকাতা হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। তদন্ত এখনও চলছে। আমরা সিবিআইয়ের কাছে আরও তথ্য চেয়েছি।"
এদিন সন্দীপ ঘোষের আইনজীবী শীর্ষ আদালতে জানান, তাঁর মক্কেলও নিরপেক্ষ তদন্ত চান। তবে হাসপাতালের 'বায়োমেডিক্যাল ওয়েস্ট'-এ দুর্নীতি নিয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত দরকার। সন্দীপ ঘোষের আইনজীবীর এই সওয়ালের পাল্টা প্রধান বিচারপতি বলেন, "একথা একজন অভিযুক্ত হিসেবে কীভাবে বলতে পারেন?" এদিকে, আরজি কর মেডিকেলের আর্থিক দুর্নীতির তদন্তে নেমে পড়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি। শুক্রবার সকালে সন্দীপ ঘোষের বেলেঘাটার বাড়িতে ইডির চার আধিকারিক পৌঁছে যান। এদিন সকাল ৬.৪০ মিনিট নাগাদ ইডির অফিসাররা সন্দীপ ঘোষের বাড়িতে গিয়েছিলেন। তবে বহুক্ষণ ডাকাডাকির পরেও বাড়ির দরজা খোলা হয়নি। শেষমেষ ঘন্টা তিনেক অপেক্ষার পর বাড়ির দরজা খোলা হলে ইডির অফিসাররা ভিতরে ঢোকেন।
0 comments:
Post a Comment