বিজেপি বিরোধিতার ঐক্যে কংগ্রস ও তৃনমূল কংগ্রেস ......

জাতীয় রাজনীতিতে বিজেপি বিরোধি দলগুলি এখন থেকেই আগামী লোকসভা নির্বাচনে নিজেদের কৌশল রচনায় ব্যস্ত হয়ে পরেছে |এর মধ্যে হিমাচলপ্রদেশ ,গুজরাট ,রাজস্থান ,কর্ণাটক ,মধ্যপ্রদেশ ও ছত্রিশগড়ে বিধানসভা নির্বাচনে কেন্দ্রের শাষকদল বিজেপির জনসমর্থন কতটা রয়েছে তার পরীক্ষা হতে চলেছে |মোদী ম্যাজিককে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি জয়ী হলেও ক্ষমতায় থাকার ৩ বছরের মধ্যেই প্রতিষ্ঠানবিরোধী মানসিকতা ক্রমেই জোরালো হচ্ছে .নোটবন্দী ,জিএসটি ,অর্থনীতির চাকা আটকে যাওয়া ,মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে চাপে মোদি সরকার |২০১৪ লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের পরাজয় ও বিজেপির ক্ষমতা লাভের পর দশ জনপথের মালকিনির সঙ্গে কলকাতার হরিশ চ্যাটার্জী স্ট্রিটের তৃনমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্ক তলানিতে নামে ,কংগ্রেস ও তৃনমূলের সম্পর্ক সংঘাতের রাস্তায় চলে যায় |বিগত পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে তৃনমূল কংগ্রেস কেই ক্ষমতাচুত করতে বামদলগুলির সঙ্গে সক্রিয় নির্বাচনী আঁতাতে রাহুল গান্ধী সক্রিয় ভূমিকা নেন সোনিয়া গান্ধির সবুজ সংকেত |কংগ্রেসের ফল তুলনামূলকভাবে ভালো হলেও বাম -কংগ্রেস জোট মুখ থুবড়ে পরে |এদিকে বিজেপি বিরোধিতা ও দেশের ধর্মনিরপেক্ষ দলগুলির মধ্যে বোঝাপড়ায় উদ্যোগী হন গান্ধী -নেহরু পরিবার |সিপিএমএর প্রকাশ কারাত কংগ্রেস বিরোধিতার লাইনে ক্ষুদ্ধ কংগ্রেস হাইকমান্ড ব্যাক চ্যানেলে হরিশ চ্যাটার্জী স্টিটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছেন |
তাদের মধ্যে বিজেপি বিরোধি রাজনীতি তে বিজেপি বিরোধি ধর্মনিরপেক্ষ জোটের পাসে কংগ্রেস সংকস্কৃতিতে বিশ্বাসী সব দলকে কাছে টানার সোনিয়া গান্ধীর কৌশলকে সমর্থন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়.২০১৯ সালের নির্বাচনে ই এর লক্ষ |তবে রাজনৈতিক মহল মনে করছে দশ জনপথের সঙ্গে ৩০বি হরিশ চ্যাটার্জী স্ট্রিটের দূরত্ব কমার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে |আমেদ প্যাটেল মমতার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন |পশ্চিমবঙ্গেও কংগ্রেস তৃনমূল কাছাকাছি আসছে |তবে রাজনৈতিক মহলের ধারনা ,বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থ ও বিজেপি বিরোধিতার ওপর দাঁড়িয়ে আগামীদিনে কংগ্রেস তৃনমূল কাছকাছি আসতে চলেছে |শুধু জাতীয় রাজনীতিতেই নয় রাজ্যে রাজ্যে এই সমঝোতা আরও পাকাপোক্ত হতে চলেছে |
Share on Google Plus Share on Whatsapp



0 comments:

Post a Comment