"রসোগোল্লার পেটেন্ট পশ্চিমবঙ্গেই "


স্নেহাশিষ মুখার্জি :মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমবঙ্গ সরকার আইনি লড়াই করে বাঙালির প্রিয় মিষ্টি রসোগোল্লার পেটেণ্ট দখল করেছে | এ ব্যাপারে কলকাতার প্রসিদ্ধ মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী সংস্থা কে সি দাশের পরিচালন বর্গ ও অন্য বাঙালি মিষ্টি ব্যাবসায়ীরা রাজ্য সরকারকে পেটেণ্ট নিয়ে লড়াইয়ে প্রচুর তথ্য ও নথি দেওয়ায় রসগোল্লার অধিকার শেষ পর্যন্ত্য পশ্চিমবঙ্গ পেয়েছে | দেশ ভাগের আগেই অবিভক্ত বাংলায় রসোগোল্লা , রসমালাই সহ উপাদেয় মিষ্টান্ন পদগুলি আবিষ্কার করা হয় | আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বিদেশিরাও বাংলার রসোগোল্লা রসমালাইয়ের স্বাদে মুগ্ধ | ২০১৫ সালের জুন মাসে রসোগোল্লার পেটেণ্ট চেয়ে ওড়িশা প্রথমবার আবেদন করে , রসোগোল্লার অধিকার তাঁদের | এই খবর পৌঁছাতেই পশ্চিমবঙ্গের তরফেও পালটা আবেদন করা হয় | দু বছরের মহাযুদ্ধের পর অবশেষে শেষ হাসি হাসলো পশ্চিমবঙ্গ | রসোগোল্লা বাংলারই | ওড়িশার সংগে যুদ্ধে জিতে রসগোল্লার সত্ব পেল পশ্চিমবঙ্গ |
জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশন (জি এ ) সিলমোহর দিয়ে জানাল রসোগোল্লা পশ্চিমবঙ্গে | এই প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গে মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক রবীন্দ্র কুমার পাল বলেন , 'রসোগোল্লা বাঙালির নিজস্ব শিল্প | কখনোই ভাবা যায়নি এটা নিয়ে কোন বিতর্ক হতে পারে | আমরা এনিয়ে প্রচুর তথ্য সংগ্রহ করেছিলাম | দেখা গিয়েছে হাজার বছর ধরে রসোগোল্লা জরিত রয়েছে বাংলার সংগে '| ইতিহাসের পাতায় রসোগোল্লা ১৮৬৮ তে নতুনভাবে তুলে ধরেছিলেন নবীন চন্দ্র দাশ | কে সি দাশের কর্ণধার ধীমান দাশ বলেন ' এটা বাঙালির বিরাট জয় | আমাদের কাছে সমস্ত নথিপত্র আছে | পারিবারিক সব তথ্য আমরা রাজ্য সরকারের হাতে তুলে দি | ধন্যবাদ জানাই আমাদের মুখ্যমন্ত্রীকেও '| কে সি দাশের আবার এক পরিচালক সঞ্জয় দাশ রসোগোল্লার পেটেণ্ট শেষ পর্যন্ত্য পশ্চিমবঙ্গ পাওয়ায় দারুন খুশি ব্যাক্ত করেছেন | সাহিত্যিক নবনীতা দেব সেনের কথায় , একটা সাংস্কৃতিক লড়াই চলছিল পশ্চিমবঙ্গে রসোগোল্লা জাতীয় নানা মিষ্টি রয়েছে ,যা ওড়িশার সঙ্গে সেসব নিয়ে আমাদের লড়াই নেই | তবে রসোগোল্লার লড়াই জিতে ভীষণ ভাল লাগছে |
Share on Google Plus Share on Whatsapp



0 comments:

Post a Comment