কোচবিহারের পাতলাখাওয়ায় নির্মাণ হচ্ছে আরো একটি গণ্ডার আসবাসস্থল :বন মন্ত্রী বিনয় কৃষ্ণ বর্মন

Indiapost24 Web Desk:বিনয় কৃষ্ণ বর্মন বন মন্ত্রী হবার পরে বিভিন্ন ভাবে বনদপ্তরের উন্নয়নের কথা মাথায় রেখে ও পাশাপাশি যে কোনো ভাবেই গোটা পশ্চিমবঙ্গ তথা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বন-পর্যটকদের টানতে পরিকাঠামোগত উন্নয়ন ও নিরাপত্তা ব্যবস্থাটির উপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেছেন বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষক মহল তাই আরো কিছু নতুন নতুন প্রকল্পকে বাস্তবায়ন করতে তিনি উদ্যত |  আমাদের সমাজে অনেক মানুষজন  আছেন যাঁরা মেট্রো শহরের শব্দ-দূষণ থেকে মুক্তি পেতে একটু আনন্দ নিতে  উত্তরবঙ্গের নির্জনতাকে পছন্দ করে,অনেকে আবার এডভেনচারাস মাইন্ডেড  আবার কেউ কেউ খুবই কাছ থেকে প্রকৃতির একান্ত দান জঙ্গল এ  ছুটি কাটাতে আসেন পরিবার নিয়ে| 

আর যদিও এই সব পর্যটকদের জন্য  উত্তরবঙ্গে  দুটো গন্ডারের আবাসস্থল আছে একটা জলপাইগুড়ির গরুমারাতে ও  অপরটি আলিপুরদুয়ার জেলার জলদা পাড়ায় | গরুমারায় ৫০ টি আর জলদাপাড়ায় ২০০ এর ওপর গন্ডার আছে | কিন্তু গন্ডারের সংখ্যা বেড়ে চলায় বনমন্ত্রী আমাদের ওয়েব মাধ্যম কে  জানান "আমরা কেন্দ্ৰীয় সরকারের বন ও পরিবেশ দপ্তরের কাছে বার বার আবেদন করি আরও দুটো নতুন গণ্ডারের আবাস্থল তৈরি করার | কারণ গণ্ডারের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়াতে ওদের জায়গার সংকুলান হচ্ছে | নিজেদের মধ্যে মারপিট করছে |তাই আমরা আরও দুটো নতুন গন্ডারের  আবাসস্থলের অনুমতি চেয়েছিলাম | যার মধ্যে একটার অনুমতি ইতিমধ্যে আমরা পেয়ে গেছি পাশাপাশি  ২ কোটি ২৫ লক্ষ্য টাকা এর ফান্ড ও এলোটমেন্ট হয়ে আছে"..তাই তিনি বলেন এবার আমাদের রাজ্য সরকারের বন-দপ্তর থেকে টেন্ডারিং করে দিয়ে কুচবিহারের "পাতলা খাওয়া"য় খুব শিগগির একটি নতুন আবাসস্থলের কাজ শুরু হবে,প্রায় ৫ বছরের এই  প্রজেক্ট যাতে সাড়ে বারো কোটি টাকা খরচ হবে, যার ৬০ শতাংশ কেন্দ্রীয় সরকার ও ৪০ শতাংশ রাজ্য সরকারের টাকায় | 

সাধারণ ভাবে পর্যবেক্ষন করলে এটা খুবই স্পষ্টত যে আগামী এই "পাতলা খাওয়ার গন্ডার আসবাস্থল  প্রজেক্ট কে কেন্দ্র করে  আরও একটা পর্যটনকেন্দ্র গড়ে উঠবে ওই চত্বরেই ফলে খুব তাড়াতাড়ি এখানে ভ্রমণ পিপাসু মানুষজনদের টেনে নিয়ে আশা যাবে তার ফলে স্বভাবতই  প্রচুর নতুন কর্মসংস্থান তৈরী হবে বলে দাবি করেন মাথাভাঙ্গার বিধায়ক তথা বন মন্ত্রী | যার প্রমাণ স্বরুপ জলদা পাড়া ,গোরুমারায় ভ্রমণের জন্য  সারা বছর অসংখ বন -পর্যটকরা  আসেন  | সর্বোপরি দপ্তর থেকে সবরকম চেষ্টা চালানো হচ্ছে বন্য প্রানী সংরক্ষণের জন্য বলে মন্তব্য করেন তিনি  |  
Share on Google Plus Share on Whatsapp



0 comments:

Post a Comment